চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডে ভেকু দিয়ে মাটি খনন করায় মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুর রশিদ খানের মালিকানাধিন নাহার ভবনের (হোল্ডিং-০০৬৭) ফাটল দেখা দেয়ায় আতংকের সৃষ্টি হয়। এই খবর শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
২২ মার্চ সোমবার দুপুর ১২টায় রাস্তা থেকে ভবন দেবে যাচ্ছে এই ধরনের চিৎকার করলে ভবনে থাকা লোকজন দ্রুত বেড়িয়ে আসেন এবং মালামাল অন্যত্র সড়িয়ে নেন।
খবর শুনে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচ শামসুদ্দৌহা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের (এনডিসি) মেহেদী হাসান মানিক, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, চাঁদপুর গনপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তন্ময়সহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান,২১ মার্চ রোবরার রাত ৯টার দিকে নূর মোহাম্মদ দর্জির ১০ শতাংশ জায়গার উপর ভেকু দিয়ে ১০ ফিট মাটি খনন করার কাজ চলছিল। হঠাৎ ৪তলা বিশিষ্ট নাহার ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়।
নাহার ভবনের মালিক মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ আব্দুর রশিদ খানের ছেলে জসিম উদ্দিন জানায়, ভবন করার নামে দিনরাত ২৪ ঘন্টা ভেকুর কাজ চলছিল। আমরা বাসায় থাকা লোকজন প্রথমে মনে করেছিলাম হয়ত ভূমিকম্প হয়েছে। পরে নিচে এসে ঘটনাটি বুঝতে পেরে দ্রুত বাড়ির সবাই বাহিরে চলে আসি। রাতে বাড়ির বাহিরে ছিলাম। সকালে সবাই পুনরায় আবার বাড়িত চলে আসি। দুপুর ১২ টায় আবার ফাটল দেখা দিলে
নূর মোহাম্মদ দর্জি বলেন, আমার জায়গার ভেতরে নাহার ভবনের ২ ফিট ও নিচের ব্যাজের ২ ফুট রয়েছে।
মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল জানায়, গনপূর্ত ও পৌরসভার দুই ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা উভয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করবে। সেখানে কোন ত্রুটি থাকলে মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে। তাৎক্ষনিক ভেকুটি জব্দ করা হয়েছে। আর নতুন ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪ তলা ভবনের লোকজনকে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২২ মার্চ ২০২১