চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা, পদ্মা, মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে।
এ বছর চাঁদপুরে ৩৫ হাজার ৫শ’ ৫২ মে. টন ভূট্টা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ হাজার ৪শ’ ৪৪ হেক্টর জমিতে।
চাঁদপুরে সাধাণতঃ আলু ফসল ঘরে তোলার সাথে সাথেই ওই জমিতে চাষিরা ভূট্টা চাষ করে থাকে।
এ দিকে আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ, পরিবহনে সুবিধা, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত, কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা ব্যাপক হারে ভূট্টা চাষ করছে।
বিশেষ করে চাঁদপুরের মতলবে ব্যাপক ভূট্টা উৎপাদন করে থাকে চাষীরা।
চাষিদের ঋণ সহায়তা দিলে চরাঞ্চলগুলোতে ভূট্টা চাষ সম্ভব। মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, ষষ্ট খন্ড বোরোচর, বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর, জাহাজমারা, লগ্মীমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি এলাকা গুলোতে ভূট্টা চাষ করা সম্ভব ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে, এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে চাষাবাদ হয়েছে ৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫শ’ ৫০ মে.টন।
মতলব উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭শ’ ২০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭ শ’ ৬০ মে.টন।
মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ১ হাজার ৮শ’ ৩৪ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬ শ’ ৭২ মে.টন।
হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ শ’ মে.টন।
হাইমচরে ও শাহরাস্তিতে ভূট্টা চাষাবাদ হচ্ছে না। কচুয়ায় চাষাবাদ ৭শ’ ৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার মে.টন।
ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ২০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ মে.টন।
প্রতিবেদক-আবদুল গনি
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৭: ০৩ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৭ রোববার
এইউ