স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :
চাঁদপুরের মেঘনা-পদ্মা নদীর সুস্বাদু ইলিশের কথা কে না জানে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ ইলিশ চলে যায় দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা শহরে। শুধু কি তাই? প্রতিবেশী ভারতের জামাই ষষ্ঠীতে চাঁদপুরের পদ্মা নদীর ইলিশ না হলে তো চলেই না।
ভাবতে অবাক লাগলেও ভরা মওসুমে পদ্মা নদীতে প্রায় ইলিশশূন্য। শুধু পদ্মা নদীই নয়, পাশের মেঘনাতেও জাল ফেলে ইলিশ পাচ্ছে না জেলেরা। রাতদিন জাল ফেলেও শূন্যহাতে ঘরে ফিরছে তারা। এতে হতাশ হয়ে পড়েছে জেলা পল্লীর বাসিন্দারা।
চাঁদপুরে প্রায় কয়েক হাজারেরও বেশি জেলে পরিবার রয়েছে, যারা মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে। এসব পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মাছ শিকারীরা বিভিন্ন ব্যাংক ও বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়ে কিনেছে জাল ও নৌকা। মাছ ধরে তা বিক্রি করেই শোধ করবে তারা ঋণ। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মুখে তুলে দেবে দু’বেলার খাবার। কিন্তু নদীতে জাল ফেলে সারাদিন ধরে চেষ্টা করেও তারা শিকার করতে পারছে না কোনো ইলিশ।
জেলেদের বেশির ভাগই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে। কেউ নদীর তীরে নৌকায় বসে কাটাচ্ছে অলস সময়। অনেকেই চরম হতাশা নিয়ে নদীতেই যাচ্ছে না। অন্য কোনো আয়ের উৎস না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে জেলার হাজার হাজার জেলে। বেশিরভাগই এনজিও ঋণের কিস্তির ভয়ে বাড়িতেই যাচ্ছে না। এসব জেলে পরিবারের সদস্যরা দিন কাটাচ্ছে অনাহারে-অর্ধাহারে। সরেজমিনে জেলেপাড়ায় গিয়ে এক দৃশ্যই দেখা গেছে। অভাবের তাড়নায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে জেলে পরিবারের হাজার হাজার সদস্য।
ভুক্তভোগীরা জানান, ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, বিআরডিবিসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণের টাকা প্রতি সপ্তাহেই পরিশোধ করতে হয়। পেটে ভাতই দেখছে না কীভাবে কিস্তি দেবে-এমন ভাবনায় ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে জেলেদের।
মানিক, জামাল মাঝি ও দিদারের একমাত্র পেশা ইলিশ ধরে বিক্রি করা আর তা দিয়ে সংসার চালানো। নদীতে ইলিশ না পেয়ে তারা হতাশ। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর থেকে সহজ শর্তে লোন দিলে আমরা এ করুন অবস্থা থেকে রেহাই পেতে পারি।
আপডেট: বাংলাদেশ সময় ০৯:৫৮ অপরাহ্ণ, ২০ জুন ২০১৫, শনিবার
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস ডট কম-এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।