চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ইরি-বোরো চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা দু’লাখ ৪৫ হাজার মে. টন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছেন ।
হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে । চাঁদপুর সেচ ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে ব্যাপক ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়।
চাঁদপুররে ৮ উপজলোয় ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ২০১৭-২০১৮ র্অথবছরে ১শ’৭১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে সোনালী,অগ্রণী,জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১শ’৭১ কোটি টাকা ।
চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়,চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ৬১ হাজার ২শ’৬৬ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪শ’ ৫৩ মে.টন চাল। যা গেলো বছরের চেয়ে ১ হাজার ৩শ ৩০ হেক্টর জমি কম চাষাবাদ হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে ৫ হাজার ৫ শ’ ১৪ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২১ হাজার ৪শ’ ৩০ মে.টন। মতলব উত্তরে ৯ হাজার ১শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৫ হাজার ৮শ’ ২৯ মে.টন।
মতলব দক্ষিণে ৪ হাজার ৭শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৮ হাজার ৫শ’ ৪৭ মে.টন। হাজীগঞ্জে ৯ হাজার ৭শ’ ২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯ হাজার ৫ শ’ ৪৪ মে.টন । শাহারাস্তিতে ৯ হাজার ৪শ’ ১৭ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪০ হাজার ৪৬ মে.টন।
কচুয়ায় ১২ হাজার ১শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪৭ হাজার ৮শ’৯৪ মে.টন। ফরিদগঞ্জে ৯ হাজার ৯শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯ হাজার ৭ শ’ ৭৯ মে.টন এবং হাইমচরে ৬ শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ হাজার ৩শ’ ৮৪ মে.টন চাল।
কৃষকরা বর্তমানে লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত স্যালো বা ডিপ নলকূপ দিয়ে পানি সেচ, গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, বোনার পরিবর্তে সারিবদ্ধ ভাবে ধান রোপণ, উন্নত বীজ ,পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার,নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ইরি-বোরোর বাম্পর ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষিবিদরা জানান।
এ ছাড়াও চাঁদপুর জেলা একটি নদীবিধৌত কৃষি ভিক্তিক অঞ্চল বিধায় কৃষকরা সময়মত চাষাবাদ ,বীজ রোপণ বা বীজবপন করে সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শী।
এদিকে সরকার প্রতিবছরই চাঁদপুরের চাষীদের সার,উন্নতমানের বীজ দিয়ে কৃষকদের সহায় ও ২০% বিদ্যুৎ ভর্তূকি দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:১০ পিএম,৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮,মঙ্গলবার
ডিএইচ