চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ২০১৭-’১৮ অর্থবছরে ইরি-বোরো চাষাবাদ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এতে আবাদ হয়েছে ৬২ হাজার ৬ শ ৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬ শ ২০ মে.টন চাল।
অথচ চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ৬১ হাজার ২ শ’ ৬৬ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪ শ’ ৫৩ মে.টন চাল। ফলে ১ হাজার ৪ শ’হেক্টর জমিতে চাষাবাদ কম হলেও উৎপাদন ৩ হাজার ২ শ’ মে.টন বেশি হয়েছে।
চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মঙ্গলবার (১৯ জুন) চাঁদপুর টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে। চাঁদপুর সেচ ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে ব্যাপক ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়।
চাঁদপুররে ৮ উপজলোয় ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী,অগ্রণী,জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ শ’ ৯৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা ।ব্যাংক গুলো ২০১৭-২০১৮ র্অথবছরে এপ্রিল পর্যন্ত ১ শ’৩৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে ৫ হাজার ৬ শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার ৮শ’ ২৯ মে.টন, মতলব উত্তরে ৮ হাজার ৯ শ’ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ৩৬ হাজার ৩ শ’ ৭৭ মে.টন।
মতলব দক্ষিণে ৪ হাজার ৯ শ’ ৮৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ২০ হাজার ৫ শ’ ৪৩ মে.টন, হাজীগঞ্জে ১০ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ৪১ হাজার ৫ শ’মে.টন।
শাহারাস্তিতে ৯ হাজার ৬ শ’ ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৫ মে.টন,কচুয়ায় ১২ হাজার ৭শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ৪৭ হাজার ৯০ মে.টন।
ফরিদগঞ্জে ১০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ৩৯ হাজার ২ শ’ ৬০ মে.টন এবং হাইমচরে ৬ শ’ ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৫শ’ ৩৬ মে.টন চাল।
কৃষকরা বর্তমানে লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত স্যালো বা ডিপ নলকূপ দিয়ে পানি সেচ, গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, বোনার পরিবর্তে সারিবদ্ধ ভাবে ধান রোপণ, উন্নত বীজ ,পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার,নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ইরি-বোরোর ফলন আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো বলে কৃষিবিদরা জানান।
এ জেলা একটি নদীবিধৌত কৃষি ভিক্তিক অঞ্চল বিধায় কৃষকরা সময়মত চাষাবাদ ,বীজ রোপণ বা বীজবপন করে সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শী। কিন্ত এবার অসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়াতে বীজতলা পানিতে তলিয়ে অনেকটা চারা তোলা যায় নি ও জমিতে রোপণ কার যায় নি বিধায় কাংখিত ফলন কম হয়েছে বলে চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত একজন কৃষিবিদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান।
এদিকে সরকার প্রতিবছরই চাঁদপুরের চাষীদের সার,উন্নতমানের বীজ দিয়ে কৃষকদের সহায়তা ও ২০% বিদ্যুৎ ভর্তূকি দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৪৫ এএম, ১৯ জুন ২০১৮,মঙ্গলবার
এএস