চাঁদপুর

চাঁদপুরে বৈশাখী কেনাকাটা জমে না ওঠায় ব্যবসায়ীরা হতাশ

১৪ এপ্রিল বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসবগুলির অন্যতম উৎসব পহেলা বৈশাখ। মুসলিমদের দু’ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় উৎসবের ন্যায় এ দিনটিতে সকলে নতুন সাজে সেজে ওঠে। আর এ সাজে তুলে ধরা হয় শতভাগ বাঙালিয়ানা।

সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুর শহরবাসীও দিনটি আসার আগেই বাঙালীর সাজে সাজতে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। লাল, সাদা শাড়ি ও পাঞ্জাবীতে নিজেদের রাঙ্গায় সকল নারী পুরুষ। নতুন সাজে সেজে বের হয় বাড়ি থেকে বৈশাখী র‌্যালী ও মেলার উদ্দেশ্যে।

মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় চড়ে। যদিও এখন আর সেই মেলা ও নাগরদোলা দেখা যায়না। তবে শহরবাসী এখন শহরের প্রেসক্লাব ডাকাডিয়া নদীর পাড় ও চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডসহ অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভীড় করেন।

সোমবার (৯ এপ্রিল) শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটগুলোতে শহরবাসী কেনাকাটা করতে এসেছেন পরিবার নিয়ে। সবাই মিলে পহেলা বৈশাখে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নতুন সাজে সাজতে নতুন জামা কাপড় কিনতে এসেছেন। তবে ক্রেতার সংখ্যা ছিলো অনেকটা কম।

এ বিষয়ে দোকানিরা জানায়, প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের আগে যেভাবে বেচাকেনা হয় এবার তার অর্ধেকও হচ্ছেনা। এছাড়া ফুটপাতের দোকানগুলোতেও তেমন বেচাকেনা দেখা যায়নি।

শহরের হকার্স মার্কেটের দোকানীরা জানান, আগের মত বেচাকেনা নেই তবে বেচাকেনা শুরু হবে আর কয়েকটা দিন পর। আগামী ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ এর আগেই পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে। আশা করি ক্রেতা থাকবে অনেক।

কথা হয় মার্কেট করতে আসা কে এম মোরশেদ নামের একজন ক্রেতার সাথে। তিনি জানান, শোরুমগুলোতে শুধু শুধু বেশী দাম রাখছে। কিন্তু একই কাপড় এখন বাইরেও কমদামে বিক্রি হচ্ছে, কারণ বাইরেতো দোকান ভাড়া দিতে হচ্ছেনা। তবে কাপড়ের দাম অনেক বেশী বলে জানান মোরশেদ।

এদিকে বৈশাখ উপলক্ষে শুধু কাপড় নয় ইলিশ মাছের বেচাকেনাও জমে উঠেনি বাজারগুলোতে। পদ্মা-মেঘনায় দু’মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় জেলেরা ইলিশ সংগ্রহ করতে পারছে না। যারা অসাধুপায়ে ইলিশ ধরছে, তারা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ক্রেতাদের কাছ থেকে অনেক টাকা হাকিয়ে নিচ্ছেন।

বৈশাখে ইলিশের স্বাধ নিতে অনেকে একটি বড় বাজেট রাখেন শুধু ইলিশ কেনার জন্য। অন্যদিকে বেশি টাকার লোভে জেলেরা প্রশাসেনর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নামছে নদীতে।

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম

Share