সকাল সাতটা। রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা দিয়ে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়ালিউল্লাহ। রিকশায় চালক একা। যাত্রী নেই। আছে কেবল একটি সুটকেস। আর তা থেকে রক্ত ঝরে পড়ছিল। দেখেই সন্দেহ হলো স্থানীয় লোকজনের। রিকশাটি থামিয়ে সুটকেস খুলে দেখলেন, ভেতরে মস্তকবিহীন একটি লাশ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সবুজবাগ থানার আহমেদবাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই রিকশাচালককে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই লাশের মস্তক (মাথা) উদ্ধার করা হয় সবুজবাগের ওহাব কলোনির একটি বাড়ির দুই তলার বাসা থেকে।
ওয়ালিউল্লাহকে দুপুর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তদন্তে জানা গেছে, লাশটি মো. সুমন নামে এক যুবকের। যে বাসা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়েছে, তিনি সেখানে পরিবার নিয়ে থাকতেন। স্থানীয় একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন তিনি।
কিছুদিন আগে তাঁর পরিবার চাঁদপুরে গেলে বাসায় তিনি একাই ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, বাসায় তাঁকে খুন করে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, কে বা কারা সুমনকে হত্যা করেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। রিকশাচালক ওয়ালিউল্লাহকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৬:৫৮ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
এমআরআর