চাঁদপুর

চাঁদপুরে বীমার মেয়াদ পূর্ণ হলেও টাকা দিতে তালবাহানা কর্মকর্তারা

চাঁদপুরে বীমার মেয়াদ পূর্ণ হলেও গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড চাঁদপুর সার্ভিসিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ।

গ্রাহকরা তাদের কষ্টার্জিত টাকা তিল তিল করে জমিয়ে বীমার প্রিমিয়াম পরিশোধ করে মেয়াদ পূর্ণ করার পরও টাকা দিতে তালবাহানা করছে অসাধু বীমা কর্মকর্তারা।

রোববার দুপুরে শহরের জে এম সেন গুপ্ত রোডস্থ হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড চাঁদপুর সার্ভিসিং সেন্টারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১২ থেকে ১৫ জন পুরুষ/মহিলা গ্রাহক তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ টাকা আদায়ে অফিসে এসে হট্টগোল করছে।

মিডিয়াকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা অফিসের নিজ নিজ ডেস্ক থেকে সটকে পড়েন।

গ্রাহদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের অনেকের বীমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কারো ১৩ বা কারো ১০ বছর মেয়াদী। বহুবার অফিসে আসলেও গ্রাহকগণ সেন্টারের ম্যানেজার মহসিন তালুকদারকে পাচ্ছেন না। অন্য কমর্র্কতারা থাকলো কোন প্রকার সদুত্তর তারা দিচ্ছেন না।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়নপুর এলাকার মরিয়ম বেগম বলেন, আমি ২০০৬ সালে একটা ও আরেকটি ২০১৪ সালে বীমা করেছি। একটির মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। এর জন্য এ নিয়ে আমি ১৭ বার অফিসে এসেছি কিন্তু তারা কিছুই বলছে না। একেকবার একেকরকম কথা বলে আমাকে বিদায় করে দেয়। মানিক ভূঁইয়া ও নজরুল স্যারের আমলে করেছি যখন অফিস শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে ছিল।

পুরানবাজারের দোকানঘর এলাকার বৃদ্ধা ফাতেমা আক্তার বলেন, ২০০৮ সালে জসিম স্যার থাকতে বীমা করেছি। আমার স্বামী নাই আনেক কষ্ট করে হাস-মুরগী-গরু পেলে টাকা জোগার করে বীমার টাকা দিয়েছি এখন অফিসের সিঁড়ি বাইতে বাইতে জীবন শেষ।

চান্দ্রা চৌরাস্তা এলাকার মুসলিম গাজী বলেন, ২০০৭ সালে বীমা করেছি জসিম স্যার তখন ছিলেন। তখন অফিস ছিল শাপলা স্টুডিওর পাশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে।

এদিকে অফিসে দায়িত্বরত অফিস সহকারী মাহবুব খান ও সৈয়দ মো. মোস্তফা এ প্রসঙ্গে অবগত নয় বলে জানান। পরে ম্যানেজার মহসিন তালুকদারের সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

প্রতিবেদক: শরীফুল ইসলাম,১৮ আগস্ট ২০২০

Share