চাঁদপুরের এক যুবক বিয়ের প্রলোভনে বড় বোন পপি বেগমের বাসার কাজের মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের পর ধর্ষণকারী গ্রেফতার থেকে বাঁচতে বিদেশে পালিয়ে গেছে।
জানা যায়, চাঁদপুর পুরাণবাজারের পূর্ব জাফরাবাদ এলাকার মৃত আরজ খানের বাড়ির মিজানুর রহমান নান্নুর ছেলে সজীব খান তার বড় বোন পপি বেগমের ঢাকা মিরপুর ১নম্বর টোলারবাগ বাসার কাজের মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলো।
গত বুধবার ওই যুবতীকে বেড়ানোর নাম করে চাঁদপুরের বিভিন্ন জায়গায় আবাসিক হোটেলে রেখে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাকে আবার ক’বার ধর্ষণ করে।
এ সময় আল আমিন একাডেমীর পেছনে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ওই যুবক ও যুবতীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় যুবকরা উত্তম মধ্যম দিয়ে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।
এ সময় ওই যুবতী জানায়, সজীব খান তাকে বিয়ের কথা বলে চাঁদপুরে নিয়ে এসেছে। এর আগে সজীবের সাথে তার সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তাকে ওই বাসার কাজ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানায় যুবতী।
র সজীবের পরিবার এ সময় স্থানীয় লোকজনের কাছে ওই যুবতীর সাথে সজীবের বিয়ে দেবেন বলে অংগীকার করে তাকে ছাড়িয়ে নেয়।
পরে সেই ওয়াদা মোতাবেক কাজ না করে সজীবকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বাঁচাতে কয়েকদিনের মধ্যে কাগজপত্র তৈরি করে কাতার পাঠিয়ে দেয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সজীব এর আগে তার এক বন্ধু শালী চাঁদপুরের হাইমচর উত্তর আলগী ছৈয়ালবাড়ি মোড় এলাকার আবুল হোসেনের ছোট মেয়ে নাজমাকে বিয়ে করেছিল। পরে ওই মেয়েকে তালাক দিয়ে ওই কাজের মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
