ভোটারদের মতামতের ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারণ হলে বিএনপি তা মেনে নেবে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মঈন খান বলেন, ‘কমিশনকে স্পট ভাষায় বলেছি, ভোটাররা যেন নিঃসংকোচে এসে তাদের খুশিমতো ভোট দিতে পারেন। তারা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে ভোট দেবেন। ফলাফল যদি সেই ভিত্তিতে হয় এবং ফলাফল শিট যেন কোনো নির্দেশে নির্ধারিত না হয়। সত্যিকার অর্থে যারা ভোট দিচ্ছেন, সেই ভোটারদের মতামতে যদি ফলাফল হয়, তাহলে আমরা মেনে নেব এবং স্বাগত জানাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা হলে নির্বাচন কমিশন লাভবান হবে। কমিশনকে আস্থা অর্জন করতে হলে এগুলো করতে হবে। তাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে মানুষকে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’
এর আগে দুপুর আড়াইটায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈদ খানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি ইসিতে আসেন। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।
মঈন খান বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটার কত শতাংশ ভোট দিল, সেই সংখ্যাটি যেন বহাল থাকে। সেটি যেন বাড়ানো কমানোর কোনো চেষ্টা না করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস নির্বাচন কমিশন আগামীকাল (৩০ ডিসেম্বর) নিশ্চয়ই চেষ্টা করবে, তাদের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা যেন জনমনে পুনঃজাগরিত হয়। এটা দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। গণতন্ত্রের জন্য কল্যাণকর হবে।’
মঈন খান বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনজন নিহত হয়েছেন। তিন শ’র অধিক আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন। বিরোধী দলের হাজারো কর্মী জেলে বন্দি আছে। তারা পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিতে পারত। তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রাখা হয়েছে। এটা আমাদের হিসেবে নয়, এটা সরকারের হিসেব। বিগত ছয় সপ্তাহে প্রায় হাজারের অধিক বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করে জেলে রাখা হয়েছে। যাতে তারা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে না পারেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।’
তিনি জানান, এ পর্যন্ত সহিংসতা হয়েছে, এর মধ্যে কিছু আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণে হতে পারে। কিন্তু দলগতভাবে যে সংঘাত, সহিংসতা হয়েছে তার ৯০ শতাংশ বিরোধী দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগের দিন খুব সহনশীল অবস্থায় রয়েছি এটা কিন্তু নয়, আপনাদের প্রতিবেদনগুলো সাক্ষী। এগুলোর বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’
বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন—চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন (অব.) সুজাউদ্দিন ও আবদুল হালিম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জান রিপন, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৭:০২ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
এমআরআর