ডাকাতীয়া-মেঘনা নদী তীর ঘেঁষা চাঁদপুর শহর ও শহরতলী মিলিয়ে যে ক’টি বিনোদন কেন্দ্র ও শিশু পার্ক রয়েছে সবগুলোই হারাচ্ছে চাঁদপুরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজের সুস্থ মানসিকতা।
বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় প্রতিনিয়ত দুরদূরান্ত থেকে আসা যুবক-যুবতীদের বেহয়াপনায় নষ্ট হচ্ছে সেখানকার পরিবেশ। ইতিপূর্বে যা আর দেখা যায়নি। দূর থেকে নদী মোহনা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখার জন্য এ স্থানটিতে ছোট-বড় অনেকেই এসে ভিড় করেন। বিশেষ করে ছুটির দিন, দিবস ও ঈদে ভিড়ের পরিমান একটু বেশি দেখা যায়। তবে অশ্লীলতা চোখে পড়েনি।
রোবাবার (১৭ জুলাই) গিয়ে দেখা এ স্থানটিও এখন বেহায়পনা-অশ্লীলতা নাম অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো এখানে আর কেউ পরিবার-সন্তান নিয়ে আসার সাহস করবে না। হারাবে সভ্যতা।
এদিকে চাঁদপুর জেলা সদরে দুটি শিশু পার্ক রয়েছে। একটি হলো শাহতলী এলাকার পাইভস্টার শিশু পার্ক, অপরটি মহামায়া এলাকার চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কিতিকুঞ্জ শিশু পার্ক।
দুটি শিশু পার্কই শিশুদের বিনোদনের জন্য গঠন করা হলেও এটি এখন আর শিশুদের জন্য ব্যবহার হচ্ছে না। প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, যুবক-যুবতীদের আনাগোনায় এটি ভিন্নভাবে ব্যবহার হচ্ছে।
গত ১১ জুলাই ফাইভস্টার পার্ক থেকে সকালে জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম ৬৪ যুবক-যুবতীকে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক করা করে। এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশের পর থেকে যুবক-যুবতী ও প্রবাসীর স্ত্রী এবং তরুণ তরুণীরা সেখানে আর ভয়ে যাচ্ছে না।
সেই ধারাবাহিকতায় যুবক-যুবতী ও প্রবাসীর স্ত্রী এবং তরুণ তরুণীরা এখন শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে ভীড় জমাচ্ছে। সেখানে তারা বিভিন্ন ভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে লিপ্ত হচ্ছে। এক যুগলের দেখার অন্য যুগল সাহস অশ্লীলতায় নিজেদেরকে হারাতে সাহস পাচ্ছে।
সেখানে আসা লোকজন জানান, পরকীয়া বাড়ছে, বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি। আর পারিবারিক অশান্তিসহ দাম্পত্য কলহে পরকীয়ার বলি হওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায়, প্রায়ই নারী বা পুরুষ পরকীয়ার অদৃশ্য ফাঁদে আটকে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। আবার কখনো হত্যা করা হচ্ছে। তারপরও থেমে নেই পরকীয়া।
বড়স্টেশন মোলহেডে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এখানে একটু বিনোদনের জন্য ঘুরতে আসেন। কিন্তু সম্প্রতি কিছু যুবক-যুবতীদের অশ্লীলতার কারণে অনেকেই সামাজিক লাজ-লজ্জার ভয়ে এখানে আসবে না।
এ সংক্রান্ত চাঁদপুর টাইমস-এর আরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক/টাচ্