চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে রহিমা বেগম (৪৭) নামের এক এতিম ও বিধবা নারীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
২৩ জুন বুধবার সন্ধ্যায় ৭টায় পুরানবাজার মধ্যশ্রীরামদি টিজি রোড় ম্যানেজার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলার অসহায় রহিমা বেগম চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানের তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, পিতা-মাতাহীন এতিম রহিমা বেগমকে পুরাণবাজার এলাকার ম্যানেজার বাড়ির আবুল কেরানি তাঁর কোন সন্তান না থাকায় মেয়ের মত করে শিশুকাল থেকে লালন পালন করে বড় করে। আবুল কেরানি মৃত্যুর পরে তার সম্পত্তি অংশ এতিম রহিমা বেগমকে দান করে যায়।
এদিকে রহিমা বেগমের পালিত পিতার মৃত্যুর পরে তাকে সম্পত্তি ও বসতঘর থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সম্পত্তির ওয়ারিশ দাবীদার একই বাড়ির মৃত নূর মো. বাচ্চুর ছেলে মিলন সরকার (৩৮) ও তার স্ত্রী সুরমা বেগম নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে।
ঘটনার দিন বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযুক্ত মিলন সরকার ও তার স্ত্রী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন
রহিমা বেগমকে বাড়িতে একা পেয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করতে হামলা চালায়। তারা কয়েকজন মিলে রহিমা বেগমকে বেদম পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
তারা অসহায় রহিমা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম চোখে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রাখে। তার ঘর থেকে নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।
পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও স্বজনরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এতিম ও বিধবা রহিমা বেগম জানান, অভিযুক্ত মিলন সরকার একজন জুয়ারি এবং মাদকাসক্ত। তার অত্যাচারের তার পরিবারের লোকজনও অতিষ্ট। সে জুয়া আর নেশার টাকা জোগাতে নিজের পরিবারের লোকদেরও মারধর করে।
সে অভিযুক্ত মিলন সরকারের হাত থেকে বাঁচতে এবং ন্যায় বিচার চেয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এদিকে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এলাকার একটি চক্র তৎপর রয়েছে বলে জানা যায়।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ২৪ জুন ২০২১