ছাত্রদলসহ মেয়াদোত্তীর্ণ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ঢেলে সাজানোর উদ্যোগও নিয়েছে বিএনপি। পর্যায়ক্রমে তাদের নতুন কমিটি গঠন করা হবে। বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি আর প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘সুপার ফাইভ’ বা ‘সুপার সেভেন’ নামে হবে না। কাউন্সিলের মাধ্যমে সরাসরি ভোটে নেতা নির্বাচন হবে, এমন সিদ্ধান্ত হাইকমান্ডের।
সুপার ফাইভ বলতে বুঝায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সিনিয়র-যুগ্ম সম্পাদক।
জানা গেছে, ছাত্রদলের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঝুলে আছে দীর্ঘদিন ধরে। স্বেচ্ছাসেবক দলেরও একই অবস্থা। কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দলের আরও বেহাল অবস্থা। এসব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন পুনর্গঠনের দাবি অনেক আগে থেকেই করে আসছে নেতাকর্মীরা।
বিএনপি কেন্দ্রীয় এক নেতা যুগান্তরকে বলেন, আগে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি করা হতো। যাকে অনেকেই ‘পকেট কমিটি’ বলত। এতে করে তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা হয়। এবার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নতুন কমিটি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেখানে তৃণমূলের মতামতও থাকবে। ভোটের মাধ্যমে সব কমিটির নেতা নির্বাচন করা হবে।
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, কাউন্সিলে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া ড্যাব থেকে শুরু হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখন দেশে ছিলেন তিনিই বগুড়া থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। আমরা একে ‘বগুড়া মডেল’ বলতাম। এতে করে মূল শক্তি যে মাঠ পর্যায়ের তৃণমূল; তারা মতামত দিতে পারেন। এটি করা হলে তৃণমূলের প্রতি নেতৃত্বের টান থাকে। আবার কেন্দ্রীয় নেতাদেরও দায়িত্ব বেড়ে যায়।
‘ড্যাবের’ নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু
এদিকে গত শনিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নেতারা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। বিকালে শুরু হওয়া এই বৈঠক চলে টানা তিন ঘণ্টা।
বৈঠকের পুরোটা সময়ই স্কাইপিতে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সূত্র জানায়, বৈঠকে অধ্যাপক আজিজুল হক, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারসহ ১৭ সদস্যের একটি ‘সাবজেক্ট’ কমিটি গঠন হয়। এই কমিটি ১৯ জানুয়ারির মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করবে।
ড্যাবের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আহ্বায়ক কমিটি সারা দেশের ইউনিট কমিটি গঠন করবে। কাউন্সিলের মাধ্যমে সরাসরি ভোটে এসব ইউনিট কমিটির নেতা নির্বাচনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে গোপনে ব্যালটের মাধ্যমেও কমিটি গঠন হতে পারে। ৩ মাসের মধ্যে ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটিও একই প্রক্রিয়ায় গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (যুগান্তর)
বার্তা কক্ষ
১৮ জানুয়ারি, ২০১৯