চাঁদপুর

চাঁদপুরে বিএনপির আহবায়কের বাসভবনে নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা

চাঁদপুরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহম্মেদ মানিকের বাসভবনে কচুয়া উপজেলা নেতৃবৃন্দর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কচুয়া বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের ৬ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়।

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় শহরের জেএম সেনগুপ্ত রোড়স্থ শেখ ফরিদ আহম্মেদ মানিকের বাসবভন মুনিরা ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা চাঁদপুর  প্রিমিয়ার হাসপতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে জেলা বিএনপির আহ্বায়কের সাথে কচুয়া উপজেলার পৌর ও থানা বিএনপি নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির পাশাপাশি যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মুনিরা ভবনে উপস্থিত হয়।

মতবিনিময় সভায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনের লোকজন ও কচুয়া বিএনপি নব্য নেতা ইঞ্জিনিয়ার মানিকের লোকজনের কথা কাটা-কাটিকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। মিলন গ্রুপের  নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার মানিক চেয়েছিলেন জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দদের হাত করে উপজেলা বিএনপির কমিটি তার নেতৃত্বে নেয়ার জন্য। জেলা বিএনপির কিছু নেতাকর্মী বলেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান সরকারের মিথ্যা মামলায় দেশ ছাড়া। তাই এহসানুল হক মিলনের বিকল্প কচুয়ায় আর কাউকে দেয়া ঠিক হবে না। এসকথা বলার সাথে সাথে মুনিরা ভবনে থাকা শহরের কিছু নেতাকর্মী কচুয়া নেতৃবৃন্দের উপর হমলা চালায় ”

কচুয়া মঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, হামলায় আহত কচুয়া পূর্ব সহোদেবপুর ইউপি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক জানায়, “সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন কচুয়া বিএনপির একমাত্র অভিভাবক। যিনি বর্তমানে অর্ধশতাধিক মামলায় জর্জরিত হয়ে দেশ ছাড়া হয়েছেন। অথচ কচুয়ার নব্য এক কথিত বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়র মানিক চাঁদপুরের কিছু নেতাকর্মীদের ভাড়া করে আমাদের ওপর হামলা করেছে। এই ঘটনার সাথে সরাসরি চাঁদপুরের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জড়িত। আমাদেরকে ডেকে এনে এভাবে লাঞ্ছিত করা কোনও সভ্য সমাজের কাজ নয়।”

হামলার খবর শুনে স্থানীয় সাংবাদিকরা মুনিরা ভবনে গেলে অনেক দেরীতে তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দিলেও দ্রুত বের হয়ে যেতে বাধ্য করে কর্তৃপক্ষ।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  || আপডেট: ০৩:১০ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৫, শুক্রবার

ডিএইচ/২০১৫।

Share