প্রতীকী ছবি
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নের মেম্বারদের কাছ থেকে বালক-বালিকাদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। ওই সব তথ্য সফ্টওয়্যারে দেয়া থাকবে। কম্পিউটারে যাচাই করলেই বিয়ের বয়স হয়েছে কিনা অথবা কবে হবে তা জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর )বিকালে মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও ইউপির বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
এ বিষয়ে আপডেট তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, চাঁদপুরে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩৫ হাজার ছেলে-মেয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলো নিয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।সমাজে বাল্য বিবাহের প্রবণতা দিন দিন কমছে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, জনগণও দিন দিন সচেতন হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাঁদপুর জেলায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সফ্টওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এ সফ্টওয়্যারে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরী ও ১৫ থেকে ২১ বছর বয়সী কিশোরদের জন্ম তারিখসহ সকল তথ্য দেয়া থাকবে। ডাটাবেইজ যাচাই করলেই জানা যাবে কোনো সময় কোনো বালক বালিকার বিয়ের বয়স হবে।’
এ জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সবুর মন্ডল আরো বলেন,‘ বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের জন্যে ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে এসে কোনো মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্যে ব্যাপক নির্দেশনা রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে আগত জনসাধারণের সকল সেবা নিশ্চিত করার জন্যে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইউনিয়নে যেনো বাল্যবিবাহ না হয় সে দিকে সজাগ থাকতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো বাল্য বিয়ের তথ্য যদি ইউপি সদস্যরা গোপন করেন তাহলে তারা সংশ্লিষ্ট মামলার আসামী হবেন। তাই বাল্য বিয়ের ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিগণ শতভাগ সচেতন থাকতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হানিফ দর্জি, ইউএনও’র সহকারী আমিনুল ইসলাম,উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ইউপি সচিব মহিউদ্দিন সোহেল,গজরা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ছানা উল্লা মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-আহŸায়ক সুমন দর্জি, গজরা ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুস ছাত্তার প্রধান, ইউপি সদস্য শাহআলম, জাহিদ হোসেন, শহীদ উল্যাহ, সুরুজ মুন্সী, শিপন সরকার, নূরুল ইসলাম, মো. কবির হোসেন, মো. শাহজালাল, সংরক্ষিত সদস্য শানাজ পারভীন, খাদিজা ইসলাম, তাছলিমা আক্তার,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন, সফিক তালুকদার গ্রাম আদালত সহকারী মো.সোহরাব হোসেনসহ স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
em>প্রতিবেদক : খান মোহাম্মদ কামাল
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:১০ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৭,শুক্রবার
এজি
