চাঁদপুরে গভীর রাতের আঁধারে খামারীর হাত পা বেঁধে ৬ টি গরু নিয়ে গেছে ডাকাতদল। ৭ নভেম্বর রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের বহ্মনসাখুয়া গ্রামের গাজী বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এমন ডাকাতির ঘটনায় নিঃস্ব, হয়ে পড়েছেন একটি অসহায় পরিবারের।
ভুক্তভোগী খামারী মিজান গাজী (৫০) জানান, তারা ভাই বোনেরা মিলে অনেক স্বপ্ন নিয়ে লোন উঠিয়ে অনেক ঋণ করে কয়েকটি গরু ক্রয় করে একটি খামারী দেন। রোববার দিবাগত রাত ১টা থেকে আড়াইটার মধ্যে একটি পিকআপ ভ্যানে করে একদল ডাকাত সাইলেন বাজিয়ে তাদের বাড়ির সামনে আসেন। গভীর রাতে এমন সাইলেনের শব্দ শুনে অনেকেই মনে করেছেন অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী আনা হয়েছে।
তিনি জানান তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাকাত দল তাদের খামাড়ে ঢুকে পড়ে। এসময় ৩ জন মুখোশ পড়া ডাকাত ধরি এবং লুঙ্গি দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এর ফাঁকে অন্য ডাকাত সদস্যরা খামারের তালা ভেঙে খামাড়ে থাকা বিভিন্ন রংয়ের ৪টি বড় গরু ও ২ টি বাচুর নিয়ে যান। যার আনুমানিক মূল্য হবে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
ভুক্তভোগী মিজান গাজীর বোন হালিমা বেগম কেঁদে কেঁদে বলেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে আমরা ভাইবোনেরা মিলে অনেক কষ্ট করে সরকারি বিভিন্ন ব্যাংক এবং সমিতি থেকে লোন নিয়ে অনেক টাকা ঋণ করে একটি খামাড় দিয়েছি। কিন্তু ডাকাতরা খামারে থাকা এই ৬টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে আমাদেরকে সবস্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছেন। আমাদের গরু গুলো ফিরে পেতে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ওই এলাকার শান্ত খান, আব্দুল আজিজ খান, আইয়ুব আলী গাজী, রিনা বেগম, মর্জিনা বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি ডাকাতির বিষয়ে একই কথা জানান।
তারা জানান, এর কিছুদিন পূর্বেও গাছতলা এবং ফরাক্কাবাদেও ১১ টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এমন ডাকাতির ঘটনায় ওই গ্রামের লোকজন কেউই নিরাপদ নয় বলে তাদের অভিমত প্রকাশ করেন। তাই ভুক্তভোগী মিজান গাজীর গরু গুলো ফেরত পেতে তারা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে এমন দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী খামারী মিজান গাজী সোমবার সকালে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ৮ নভেম্বর ২০২১