চাঁদপুর জেলার হাইমচর ও মতলব উত্তর এবং মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় চরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । মঙ্গলবার পহেলা সেপ্টেম্বর চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির কর্তব্যরত কৃষিবিদ নরেশ চন্দ্র দাস এক তথ্যে ফসলের এ ক্ষতি ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানান ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে , আউশের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৭ হেক্টর , বোনা আমনের ১০ হাজার ৫শ হেক্টর , রোপা আমনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩১ হেক্টর , পানের বোরজের ক্ষয়ক্শতি হয়েছে ২৩৭ হেক্টর ,বিভিন্ন শাক-সবজির ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে ৪১০ হেক্টর ও বীজতলা হয়েছে ৩০ টি । চাঁদপুর সদরে ১০ হেক্টর ও মতলব উত্তরে ৯ হেক্টর । চাঁদপুরের ফসল ও অন্যান্য শাক-সবজির এ ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্কে সংশ্লিষ্ঠ বিভোগকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে ।
এদিকে চাঁদপুরের ৮ উপজলোয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ২০২০-২১ অর্থবছররে ২২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা কৃষিঋণ ও দারিদ্রবিমোচনে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে , চাঁদপুরের ৮ উপজেলা ও জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের ২০ টি শাখার মাধ্যমে ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকরে ২১ টি শাখার মাধ্যমে ১৭ কোটি ১৬ লাখ , জনতা ব্যাংকরে ১৫ টি শাখার মাধ্যমে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা, বাংলাদশে কৃষি ব্যাংকরে ২৮ টি শাখার মাধ্যমে ১৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে । ২০১৯-২০ এর জুন পর্যন্ত চাঁদপুর জেলার ঔ সব ব্যাংকে ১০ টাকার কৃষক হিসেবের সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ৪ শ’ । কৃষকদের এ হিসেবের মাধ্যমে ব্যাংক সকর প্রকার রেনদেন করবে বলে জানা যায় ।
চাঁদপুর কৃষি অধিদপ্তর জানান, জেলায় ১৫০০ কৃষকের মাঝে উন্নত প্রজাতির বীজ বিতরণ করা হবে। উক্ত বীজ উপজেলা পুনর্বাসন কমিটির মাধ্যমে দেয়া হবে।
আবদুল গনি, ১ সেপ্টম্বর ২০২০