Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে ফলন ভাল হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চায় বাঙ্গি চাষিরা
শরীর

চাঁদপুরে ফলন ভাল হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চায় বাঙ্গি চাষিরা

সবুজ-হলুদ রঙে সেজেছে বাঙ্গির ক্ষেত। শরীর ঠান্ডা রাখতে তরমুজের পর বাঙ্গির স্থান রয়েছে। বাঙ্গি গাছ দেখতে লতার মত। এ ফল পাকলে হলুদ রঙ ধারণ করে। ফলন ও বাজার দরে খুশি চাষীরা।

বিশেজ্ঞদের মতে বাঙ্গি টক, মিষ্টি না হলেও খেতে অনেক সুস্বাদু। বাঙ্গিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে শর্করা, খনিজ, মিনারেল, ভিটামিন-এ এবং সি। এছাড়া সুগার কম থাকায় ডায়বেটিকস রোগীদের জন্য এ ফল গুরুত্বপূর্ণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার মধ্যে হাইমচর উপজেলায় বাঙ্গি চাষ করা হয়। গত মৌসুমে মেঘনায় অনাকাঙ্ক্ষিত জোয়ারে ক্ষতি সাধন হয়। তবে এবছর ভাল ফলন হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চায় চাষিরা। চলতি বছরে হাইমচর উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৩/২৪ টন বাঙ্গি উৎপাদন হচ্ছে। চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার উত্তর-পূর্ব চরভাঙ্গা ও চরাঞ্চলে দিগন্ত জোড়া মাঠে এবার বাঙ্গি ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে।

৩নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন চরভাঙ্গা গ্রামের বাঙ্গি চাষী জাকির শেখ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, গত মৌসুমে মেঘনায় অনাকাঙ্ক্ষিত জোয়ারে যেমন ক্ষতি সাধন হয়েছে, তেমনি ফসলি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাই এবার ব্যাপক বাঙ্গির ফলন হওয়ায় আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঘুরে দাড়িয়েছি। এ বছর প্রায় দেড় একর জমিতে বাঙ্গি চাষ করে প্রায় সাড়ে তিন মাস পরিচর্যার পর বাম্পার ফলন পেয়েছি। এখন বাঙ্গি পাকতে শুরু করেছে। প্রতিদিন পাকা বাঙ্গি তুলে বাজারে পাঠানো হচ্ছে চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন আড়তে।

একই গ্রামের শাহাজান শেখ, ইব্রাহিম শেখ, সৈয়দ আহমদ জমাদারসহ অন্যান্য চাষিরা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় আকারের (প্রায় পাঁচ কেজি) বাঙ্গি প্রতিটি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, মাঝারি আকারের (প্রায় তিন কেজি) প্রতিটি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং ছোট আকারের (প্রায় দেড় কেজি) প্রতিটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে কেনা-বেচা চলছে।

হাইমচর উপজেলা সদর আলগী বাজারের পাইকারী বাঙ্গি ব্যাবসায়ী মোঃ বেলাল ও জাহাঙ্গীর হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এখন গরমকালে বাঙ্গি ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

হাইমচরে উৎপাদিত বাঙ্গি ফল উপজেলার চাহিদা পূরণ করে চাঁদপুর জেলার বৃহৎ আড়ত চৌধুরীঘাটসহ বিভিন্ন জেলা শহর ও মহানগরের বাজারেও যাচ্ছে। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় খরার কারনে দামটা একটু চড়া।

হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, চলতি বছরে হাইমচর উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৩ থেকে ২৪ টন বাঙ্গি উৎপাদন হচ্ছে। বলা যায় বাঙ্গির ফলন ভালো হয়েছে।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,৭ এপ্রিল ২০২১