চাঁদপুরে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠিত

নানা আয়োজনে চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মেঘন-ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ৮ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রথম আলোর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রীতি সম্মীলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনার পর চাঁদপুর বন্ধু সভার সভাপতি তৌহিদুর রহমান জনির সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি আলম পলাশ। এ আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস,বিশিষ্ট কবি লেখক ও সাহিত্যিক ডা.পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, সংবর্ধিত অতিথি অ্যাড.বিনয় ভূষণ মজুমদার,জেলা সরকারি গণগ্রন্তাগারের লাইব্রিয়ান রাফিয়া সুলতানা,সহাকারী লাইব্রিয়ান রেহানা ফেরদৌস, সংবর্ধিত অতিথি মো.রাসেল খন্দকার,আক্কাস আলী রেলওয়ে একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.গোফরান হোসেন,আল আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক ওমর ফারুক, চাঁদপুর ল্যাবরোটরি স্কুলের অধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি দাস,রেলওয়ে একাডমীর প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা খানম,শিক্ষার্থী জোহরা ও ইয়াসিন।

আলোচনা সভা শেষে অতিথি ও জেলা শহরের ৫টি সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেরা ৫০ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় কুইজের মাধ্যমে সম্পাদক মতিউর রহমান,আনিসুল হক,সাজ্জাদ শরীফের লেখা প্রথমা প্রকাশনীর ৫০টি বই ও ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।

ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে অদ্যাবদি রক্তদানে অবদান রাখায় জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাড.বিনয় ভূষণ মজুমদার এবং পিতামাতা হারা অসহায় পরিবারের প্রতিবন্ধী মেধাবী শিক্ষার্থী মো.রাসেল খন্দকারকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।

এ সময় বক্তরা বলেন, প্রথম আলো শুরু থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে, প্রগতির পক্ষে এবং অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে অবদান রেখেছে আমরা তার সাধুবাদ জানাই। তারা শুধু ভালো ও সত্যিই লিখেন না। তারা সমাজের যত ভালো কাজ রয়েছে সেগুলোও করে যাচ্ছে। সেটি তারা অব্যাহত রাখবে সব সময়। আমরা মনে করি প্রথম আলো একটি আলোর বাতিঘর।

পরে শিল্পি মৃণাল সরকার ও নৃত্য শিল্পি সোমা দত্তের নেতৃত্বে একাধিক গান নাচ অনুষ্ঠিত হয়। উন্মুক্ত এ অনুষ্ঠান শতশত মানুষ উপভোগ করেন।

সব শেষে প্রথম আলোর জন্মদিনের কেক কাটা ও সুন্দরি পাকন(মুগ পিঠা) পিঠা খাওয়ায় সবাই অংশ নেন।

স্টাফ করেসপন্ডেট

Share