চাঁদপুরে প্রতিবন্ধীর সাথে গৃহবধূর জোরপূর্বক বিয়ে: আটক ৩

চাঁদপুরে গৃহবধূকে আটকে রেখে প্রতিবন্ধির সাথে ভুয়া বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৩ জনকে সোমবার সদর উপজেলার পশ্চিম সকদি থেকে আটক করেছে পুলিশ।

গৃহবধুর বাবার দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় বাগাদি ইউনিয়নের কথিত সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মানিক মিয়া ও তার ভাই প্রতিবন্ধি অপু ও ভুয়া তালাক করে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কাজী খোরশেদ আলম(৪৫)কেও আটক করা হয়।

অভিযোগে জানা যায়, গত ১৩ তারিখ শুক্রবার দুপুরে গৃহবধূ পান্না বেগমকে বাড়িতে আটকে রেখে প্রতিবন্ধির সাথে বিয়ে দেয়। ঘটনার পর খবর পেয়ে গৃহবধূ পান্নার প্রথম স্বামী করিমের বাবা শহর আলী বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবন্ধি অপুকে আটক ও গৃহবধূ পান্না বেগমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুরনাহার গৃহবধূ পান্না বেগমকে জিজ্ঞাবাদ করলে সে পুরো ঘটনার বিবরণ দেয়।

ঘটনার ৩ দিন পূর্বে মানিক মিয়া গৃহবধুর কাছ থেকে জোর করে তালাক নিয়ে কাজী রফিকুল ইসলাম ও খোরশেদ আলম কয়েক মাস পিছিয়ে ৭/১/২০১৫ তারিখ তাদের রেজিঃ খাতায় লিপিবদ্ধ করে। বিষয়টি ভুয়া তালাক হয়েছে জানতে পেরে কাজী খোরশেদ আলমকে আটক করে। ঘটনার পর থেকে কাজী রফিকুল ইসলাম পালিয়ে রয়েছে। এই ঘটনায় গৃহবধুর বাবা আবু তাহের বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৪৬ তাঃ ২৩/১১/২০১৫।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুর সদর উপজেলা ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জাফরাবাদ এমদাদিয়া মাদ্রাসার পিছনে গফুর আলী শেখ বাড়ির  আবু তাহের শেখের মেয়ে পান্না বেগমের  সাথে মানিকগঞ্জ  জেলার পাল্লা গ্রামের শহর আলীর ছেলে করিমের সাথে ২ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। পশ্চিম সকদি গ্রামে প্রতিবন্ধী অপুর বাড়ির পাশে  গৃহবধূ পান্না বেগমের বড় বোন সুমির শশুর বাড়ি।  ১০ নভেম্বর  পান্না বেগম চাঁদপুর এসে খালার বাড়ি হয়ে বোনের বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে প্রতিবন্ধী অপু তার সহযোগীদের নিয়ে সিএনজি স্কুটার যোগে বাবুরহাট নিয়ে তার বন্ধুর বাড়িতে আটকে রাখে। এ খবর জানাজানি হলে প্রতিবন্ধীর বড় ভাই বাগাদি ইউনিয়নের কথিত সম্ভাব্য চেয়াম্যান প্রার্থী বাবুরহাট থেকে গৃহবধূকে এনে তার বাড়িতে ৩ দিন আটকে রেখে ভুয়া বিলে কাজ সম্পন্ন করে।

আপডেট: ০৬:২১ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার

ডিএইচ

আশিক বিন রহিম, চীফ করেসপন্ডেন্ট

Share