সৌন্দর্য ও পবিত্রতা হারিয়ে চাঁদপুর শহরের প্রধান পৌর ঈদ গাঁ টি এখন বিভিন্ন গাড়ি পাকিং, নির্মান সামগ্রী, কাঁচা মাল, ও বাঁশের বেড়া তৈরিদের দখলে। যেখানে মুসলমানরা প্রতি বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে থাকেন। সে মাঠটি এখন কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের ময়লা আর্বজনার স্তুপ,ট্রাক,এ্যাম্বুলেস, রিক্সা, ঠেলাভ্যান ও পিকআপ ভ্যান পাকিংয়ের এবং বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখার দখলে রয়েছে।
চাঁদপুরের প্রধান ঈদ গাঁ হিসেবে পৌরসভার এই ঈদ গাঁ মাঠেই প্রতিবছর পবিত্র ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা। অথচ কিছু সুবিদা ভোগীদের দখলে সে ঐতিহ্যবাহী ঈদ গাঁ টি যেনো অরক্ষিত হয়ে পড়ে আছে। তা দেখার যেনে কেউ নেই।
চাঁদপুর শহরের কবি নজরুল সড়কস্থ ( সাবেক স্ট্যান্টরোড) পুরান বাজার নতুন বাজার ব্রীজের নিকটে অবস্থিত পৌর ঈদ গাঁ মাঠটিতে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, মাঠের চর্তুদিকে মাঠ জুড়ে পিকআপ ভ্যান, এ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক, ঠেলাভ্যান, রিক্সাসহ বিভিন্ন ছোট- বড় যানবাহন পাকিং করে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে মাঠের অধিকাংশ জুড়ে রয়েছে সড়ক নির্মানের পাথরের টুকরো এবং মাঠের দক্ষিন পাশে বাঁশের বেড়া ব্যবসায়ীরা বাঁশ এবং বেড়া তৈরি করে মাঠে ফেলে রেখেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন কাঁচামাল সেখানে ফেলে রাখার কারনে এবং বহিরাগতদের মল মূত্রে সেখানে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যার কারনে ঈদ গাঁ মাঠটি একদিকে যেমন পবিত্রতা রক্ষা পাচ্ছেনা অন্যদিকে পরিবেশ দূষিত হয়ে তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে শহরের এই প্রধান ঈদ গাঁ।
দেখা গেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন বাসা বাড়ির লোকদের ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য কয়েক বছর পূর্বে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ঈদ গাঁয়ের এককোণে নির্দিষ্ট একটি ডাস্টবিন নির্মান করেছেন। অথচ প্রতিনিয়ত দেখা যায় কিছু কাঁচামাল আড়াৎদাররা নির্দিষ্ট ওই ডাস্টবিনে তাদের পঁচা কাঁচামাল না ফেলে ডাস্টবিনের পাশে সড়কের ওপর অথবা ঈদ গাঁ মাঠে ওইসব পঁচা কাঁচামাল ফেলছেন। তাদের এসব ময়লা আবর্জনা মাঠে এবং সড়কে ফেলে রাখার কারনে সেগুলো দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে।
প্রায়ই দেখা যায় ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারীরা দুর্গন্ধের কারনে নাকে হাতে দ্রুত পায়ে হেটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে ঘুরতে বের হওয়া মানুষজন ওইসব পঁচে যাওয়া কাঁচা মালের স্তুপে স্লিপ খেয়ে পড়ছেন। আবার অনেকে মাঠ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বাঁশের বেড়াতে পা কেটে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় এলাকার মহসিন, রুবেল, কাউসার, মাসুদ, মনির হোসেন, রিপন সহ বেশ কয়েকজন জানান, ঈদ গাঁহে এভাবে গাড়ি পাকিং করায় চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ গত কয়েক মাস পূর্বে মাঠের দুটি গেটে পাকা ফিলার পুতে রাখেন। তারপর থেকে কিছুদিন মাঠটি গাড়ি পাকিং থেকে রক্ষা ফেলেও কয়েক মাস যেতেই সুবিদাভোগীরা রাতের অন্ধকারে দুই গেটের প্রবেশ মুখে থাকা ওইসব পুতে রাখা পাকা ফিলার উঠি ফেলে দেয় এবং ভেঙ্গে ফেলে। তারা পুনারায় আবার প্রতিদিন ঈদ গাঁহে বিভিন্ন যানবাহন পাকিং করতে শুরু করে।
চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি মাঠের দু পাশের খোলা জায়গাটি স্টীলের গেট বানিয়ে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করেন তাহলে হয়তো সুবিদা ভোগীরা সেখানে আর এভাবে গাড়িং পার্কিং করতে পারবে না।
আর মাঠ জুড়ে এসব যানবাহন, কাঁচামাল, বাঁশের বেড়া তৈরি করে ফেলে রাখার কারনে বিভিন্ন স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও সেখানে সুন্দর ভাবে খেলাধুলা করতে পারছে না।
তাই চাঁদপুরের এই ঐতিহ্যবাহী প্রধান ঈদ গাঁ মাঠটির পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য মাঠের দু, পাশের গেট দুটিকে বিশাল পরিসরে স্থায়ী ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি