শীর্ষ সংবাদ

বাড়ছে শীতের প্রকোপ : চাঁদপুরে পোশাক বিক্রির ধুম

ঋতুর বদলে দেশজুড়ে এখন চলছে শীতের প্রকোপ। পিঠা-পুলি আর নানা রকম উৎসবে ঠাসা ঋতু শীতকাল। শীত এলেই সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও জমজমাট হয়ে উঠে গরম কাপড়ের বাজার। এই শীতে পুরো দেশের মতো চাঁদপুরেও জমে উঠেছে শীতকালীন পোশা বিক্রির ধুম।

শীতের তীব্রতা যতো বাড়ছে ততোই বাড়ছে এখানকার শীতকালীন পোশাকের চাহিদা। চাঁদপুরে গরম কাপড়ের দোকানে মানুষের ভিড়ই জানান দিচ্ছে শীতের তীব্রতা এখন কতখানি?

শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে হকার্স মার্কেট ও নামিদামি মার্কেট গুলোতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে শীতকালীন পোশাকের জমজমাট বিক্রি।

কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরেছে ইট পাথরে ঘেরা চাঁদপুর শহরসহ গ্রামবাংলা। শহরের শীত কিছুটা কম হলেও গ্রামীণ জনপদে বেড়েছে শীতের দাপট। একদিকে শীতকালীন সবজি অন্যদিকে শীতকালীন পোশাক। সব মিলিয়ে এখন চাঁদপুরে শীতের আবহ লক্ষ্যণীয়।

শীতের প্রকোপ অনুভূত হওয়ার সাথে সাথে শহরের মার্কেট, বিপণনকেন্দ্রগুলোতে শীত বস্ত্র কেনাকাটাও চলছে পুরোদমে। হকার্স মার্কেট, ফুটপাতসহ সকল দোকানে দেখা মিলছে হরেক রকম শীত বস্ত্রের সমাহার। কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে জমজমাট কেনাবেচার চিত্র।

হকার্স মার্কেটের বেশ কিছু দোকান ঘুরে দেখা যায় শীতবস্ত্রতে ঠাঁসা। মার্কেট ও ফুঁটপাতে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এসব পোশাক কেনা-বেচা। বিক্রয়কর্মীরা ক্রেতাদের নজর কাড়তে দিচ্ছে নানারকম শ্লোগান।

মার্কেট ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা শীতকে কেন্দ্র করে দেশের বিখ্যাত বিদেশী শীতবস্ত্র আমদানি করেন।

চাঁদপুর হকার্স মার্কেটের এক ব্যবসায়ী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার ব্যাপক হারে শীতবস্ত্র আমদানি হয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার স্থান থেকে তৈরি শীতের পোশাক বাজারে এসেছে।

শিশু থেকে শুরু করে সব শ্রেনি-পেশার মানুষের পোশাক মিলছে দোকানগুলোতে। চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের পোশাক ক্রয় করছে ক্রেতারা। শীতের নতুন কাপড় বিগত বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি বেশী বলে জানান দোকানীরা।

শীত থাকায় বিগত বছর গুলোর তুলনায় ক্রেতা বেশি আছে। ফলে গত সপ্তাহ থেকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতা সমাগম বেশি দেখা যাচ্ছে। শীত যত তীব্র হচ্ছে ততই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।

ফুটপাত থেকে শীতের কাপড় কিনতে এসে মালেক দেওয়ান নামে এক ব্যাক্তি চাঁদপুর টাইমসকে জানান , বিগত বছর গুলোর তুলোনায় এই বছর নানা ধরণের শীতবস্ত্র বাজারে এসেছে তবে মূল্য প্রায়ই দিগুন।

ফুটপাতের দোকান গুলোতে নতুন ও পুরনো কাপড় নিয়ে দোকানীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, শীতে শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধদের কাপড় বিক্রিই বেশী। বাচ্চাদের পুরনো সোয়েটার ১’শ ২০টাকা থেকে ৪’শ ৫০টাকা, নতুন সোয়েটার ৪’শ টাকা থেকে ৮’শ টাকা, জ্যাকেট রেকসিন ৩’শ টাকা থেকে ৫’শ টাকা ও কাপড়ের জ্যাকেট ৩’শ ৫০ থেকে ৬’শ টাকা প্রকার ভেদে বিক্র করা হচ্ছে।

এ ছাড়া বাচ্চাদের কান টুপি ৮০ থেকে ১’শ টাকা, হাত মুজা ৫০টাকা, কাপড়ের জুতা ১’শ ২০ টাকা বিক্রি করতে দেখা যায় দোকানীদের।

ছেলেদের গেঞ্জি ৩’শ ৫০ টাকা, রেকসিন জ্যাকেট ৬’শ টাকা থেকে ১৬’শ টাকা। মহিলাদের জন্য দেশী চাঁদর ৪’শ ৫০ থেকে ১৫’শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন।

নানান বয়সী মানুষ শীতের প্রকোপ মোকাবেলায় যার যার সাধ্যমত পছন্দের শীতের পোশাক কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে দোকানগুলোতে।

একই সময়ে সকলের প্রয়োজনে জমজমাট হয়ে পড়ে চাঁদপুরের শীতের কাপড় বিক্রির দোকানগুলো।

প্রতিবেদক-শরীফুল ইসলাম
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ২ : ০২ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ/ডিএইচ

Share