চাঁদপুরে চলতি মৌসুমে ২০১৯-২০২০ জেলার সব ক’টি উপজেলায পেঁয়াজ-রসুনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং চাষাবাদ অর্জিত হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি চাঁদপুরের সংশ্লিষ্ট একজন কৃষিবিদ চাঁদপুর টাইমসকে বুধবার ১ এপ্রিল জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, উৎপাদিত পেঁয়াজ-রসুন কৃষকদের ঘরে তোলা শুরু হয়েছে। এবার ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় সময়মত চাষাবাদ ও ঘরে তোলাও সম্ভব হচ্ছে।
এসব পেঁয়াজ-রসুন বাজারে উঠলে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে । করোনার কারণে সকল উপজেলার উৎপাদন তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ঔ কৃষিবিদ জানান।
বিশেষ করে চাঁদপুর জেলার হাইমচর এর বাবুরচর, মধ্যচর, ঈশানবালা ও মাঝির বাজার, চাঁদপুর সদরের ফতেজঙ্গপুর , রাজরাজেশ্বর, জাহাজমারা, মতলব উত্তর বোড়োচর , চর ইলিয়াড , সবজি কান্দি প্রভৃতি এলাকার চরাঞ্চলের কৃষকগণ ব্যাপকহারে পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ করে থাকে।
এছাড়াও চাঁদপুর জেলার নদীভাঙ্গন ও নদী তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোতে নদীর তীরে পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে হাইমচরের চরভৈরবি,চাঁদপুর সদরের ইব্রাহিমপুর,রাজরাজেশ্বর,বিষ্ণুপুর এবং মতলব দক্ষিণ সবজিকান্দি ও উত্তরের মোহনপুর,জহিরাবাদ ও একলাশপুর প্রভৃতি ইউনিয়নের নদীরতীরে ও একটু ভেতরে ব্যাপক হারে পেঁয়াজ-রসুন নিজ উদ্যোগেই কৃষকগণ চাষাবাদ করে থাকে বলে জানা যায়।
এদিকে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪% রেয়াতি সুদে ডাল,তেল মসলা ও ভূট্টা চাষাবাদে চাঁদপুরের ব্যাংকগুলো ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে এবং জানুয়ারি পর্যন্ত ১৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা এখাতে বিতরন করেছে বলে কৃষি কমিটির এক সভার প্রতিবেদনে জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে , চাঁদপুরে এবার শাহরাস্তি ব্যতীত ৭ উপজেলায় পেঁয়াজ-রসুনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার ৩ শ ৮৮ মে.টন এবং চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৪ শ হেক্টর।
এর মধ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন হলো ৬ হাজার ৮ শ ৮৮ মে.টন এবং চাষাবাদ হলো ৯শ হেক্টর। রসুনের উৎপাদন হলো ৩ হাজার ৫শ মে.টন এবং চাষাবাদ হলো ৫শ হেক্টর ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি চাঁদপুরের ২০১৯-২০ এর বার্ষিক মৌসুমি রবি ফসলের আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে ।
আবদুল গনি, ১ এপ্রিল ২০২০