চাঁদপুরে পৃথক মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় ১০ হাজার টাকা জারিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে পর্যায়ক্রমে পৃথক দুই মামলার রায় দেন চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক।
সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর রামদাসদী গ্রামের সালমা হত্যা মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি মধ্যরাতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শ্বাসরোধে স্ত্রী সালমা বেগমকে (২২) হত্যা করেন স্বামী বায়েজীদ খান বাবুল (২৮)। এ ঘটনায় নিহত সালমার বাবা আব্দুল লতিফ মিজি বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বাবুলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাবুলকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া তদন্ত শেষে ওই বছর ৫ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি প্রায় ৬ বছরের অধিক সময় চলমান অবস্থায় আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
অন্যদিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে সাহিদা বেগম মুক্তা হত্যার মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাতে পূর্বের পারিবারিক কলহ এবং যৌতুকের টাকা দাবিকে কেন্দ্র করে স্বামী হাসান সর্দার (৩৮) স্ত্রী সাহিদা বেগম মুক্তাকে (৩৬) ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেন। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় মুক্তার ভাই মো. সোহাগ মজুমদার বাদী হয়ে পরিদন অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর হাজীগঞ্জ থানায় হাসান সর্দারকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় হাসান গ্রেপ্তার হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীদ হোসেন তদন্ত শেষে ওই বছর ২৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
উভয় মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটির (এপিপি) মোক্তার আহমেদ অভি জানান, মামলাগুলো দীর্ঘ ৬ বছরের অধিক সময় চলাকালীন অবস্থায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হয়। যার ফলে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় দেন।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ২৫ জুলাই ২০২৩