চাঁদপুরের আলোচিত পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের মিথ্যে পরিচয় দিয়ে বিচার প্রার্থীর কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়া এবং আরো টাকা দাবি করার দায়ে দুই প্রতারক নারীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ মে) দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার নয়াহাট গ্রামের তাদের নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকৃত প্রতারক নারীরা হলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলার চির্কা চাঁদপুর গ্রামের নয়ারহাট এলাকার বেপারী বাড়ির লিটন মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার ও সোবহান গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির আওলাদ হোসেনর স্ত্রী জাহানারা বেগম।
জানাযায়, বেশ কিছুদিন পূর্বে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ধানুয়া গ্রামের মনু মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্রে একটি অভিযোগ প্রদান করেন। আর ওই অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ শামসুন্নাহার পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
এ ফাঁকে ওই দুই প্রতারক নারী নাজমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন। তারপর তারা মোবাইলে অভিযোগের কথা উল্ল্যেখ করে বিচারের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের পরিচয় দিয়ে তার কাছ থেকে প্রথমে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।
সহজ সরল নাজমা বেগম তা বিশ্বাস করে গরীব অসহায় বলে ৫ হাজার টাকা তাদের দেয়া বিকাশে প্রদান করেন। কয়েকদিন পর ওই দুই প্রতারক পুনরায় আবারো নাজমা বেগমের মোবাইল নম্বরে কল করে আরো ১০ হাজার টাকা দিতে বলেন।
এদিকে গত ৩ মে নাজমা বেগম তার অভিযোগের কাগজ নিয়ে পুনরায় পুলিশ সুপারের কাছে যান এবং তাকে বলেন স্যার আমি গরিব মানুষ আমার কাছে এত টাকা নেই তাই ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। সহজ সরল নাজমা বেগমের এমন টাকা দেয়ার কথা শুনে পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার হতবাক হয়ে যান।
পরে তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানেন এবং যেসব নম্বর থেকে নাজমা বেগমকে কল করা হয়েছেে া টাকা পাঠানো হয়েছে, সেসব নম্বর সংগ্রহ করে তা টেকিং করে ওই প্রতারক দুই নারীর সন্ধ্যান বের করেন।
পরে ডিবি পুলিশ সদস্যরা তাদের দু,জনকে আটক করেন। তাদের আটক করার পরপরই এসপি চাঁদপুর ফেসবুক ফেইজে দুই প্রতারক নারীর ছবিসহ সর্তক বার্তা পোষ্ট করা হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, কিছুদিন পূর্বে ভুক্তভোগী নাজমা বেগম নারী ও শিশু সহায়তা সেবার জন্য আমার এখানে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ব্যপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তার দায়িত্ব ও পুলিশকে দেয়া হয়েছে। গত ক’দিন পূর্বে নাজমা বেগম এসে যখন বললো আমার পরিচয় দিয়ে কেউ তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তখন তাদের নম্বর সংগ্রহ করে আটক করার নির্দেশ দেয়া হয়।’
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি