স্ত্রী রুপা বেগম (৩০) কে খুন করে তার স্বামী নাছির উদ্দিন পালিয়ে যায়। ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ প্রযুক্তিগত কৌশল অবলম্বন করে ঘাতককে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে আটক করে। এ ঘটনায় নিহত রূপার ভাই চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ১০ মে মঙ্গলবার সকালে বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪।
১০ মে মঙ্গলবার দুপুরে নাছির উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, সোমবার পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে ঘাতক নাছিরের মা এবং বোনকে দিয়ে তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে। তারাই হত্যাকাণ্ড থেকে নাছিরকে রক্ষা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। মা ও বোনের কথা শুনে নাছির চাঁদপুরে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরবর্তীতে ঘাতক নাছির রফ রফ লঞ্চযোগে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। চাঁদপুর লঞ্চঘাট এর কাছাকাছি আসলে তার পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকেন। তখন চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে লঞ্চঘাট এলাকায় অবস্থান নেয়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মকবুল হোসেন ও শাহরিন ঘাতক নাসির উদ্দিনকে লঞ্চঘাট থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
পরে নাছির উদ্দিনকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাঁদপুর (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, পারিবারিক কলহের কারণে ভোর রাতে জিদের বশবতি হয়ে দা দিয়ে সে একাই স্ত্রী রূপা বেগম কে জবাই করে হত্যার কথা স্বিকার করেছেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানায়, নাছির তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যারপর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে আমরা কৌশল অবলম্বন করে তার পারিবারের মাধ্যমে চাঁদপুর নিয়ে আসি এবং লঞ্চঘাট থেকে তাকে আটক করি। সে তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক, ১০ মে ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur