চাঁদপুর শহরের ১৩ নং ওয়ার্ড ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রতিটি গলিতে একটি করে ব্যবহৃত পানির কল নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রতিটির পানির কল থেকে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি পরিবার খাওয়ার পানি সংগ্রহ করে থাকে।
কিন্তু গত এক মাস ধরে সেখানে বসবাসরত একটি পরিবার ব্যবহৃত পানরি কলটি ভেঙে দেয়াল তৈরি করে ঘর নির্মান করায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রতিটি পরিবার খাওয়ার পানি সংগ্রহে বিপাকে পড়ছেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীরা অভিযোগ করে জানান, এখানে বসবাসকারী সেলিনা বেগম ও দেলুকে আরো দু’একমাস আগে বলা হয়েছিলো যাতে পানির কল না ভাঙার জন্য। কিন্তু এখানকার কারো কথা না শুনে তারা অবৈধভাবে পানির কলটি ভেঙে ঘর নির্মান করেছে। এছাড়া যেখানে শিশুরা খেলাধুলা করে সেখানে গোয়ালঘর তৈরি করে রেখেছে।
যার ফলে সেখানকার পরিবেশে দূষিত ও নোংরা হয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, টিউবয়েলটি ভেঙে ফেলায় তাদের প্রতিদিন অন্য স্থান থেকে পানি আনতে হচ্ছে। তাদেরকে বহুবার বলা সত্যেও আমাদের ক্ষতি করে ঘর তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে পৌর মেয়রের দৃষ্টি কামনা করেছে এবং ওই ঘর ভেঙে পানির কলটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলমগীর গাজী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের লোকজন আমার কাছে এসে বিষয়টি জানিয়েছে। আমিও এই বিষয়ে তাদের বলেছিলাম কিন্তু তারা আমার কোন কথাই শুনেনি। যারা অবৈধভাবে সরকারি ভূমি দখল করে মানুষের ক্ষতি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমার চেষ্টা থাকবে ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের এলকাবাসীর ব্যবহৃত পানির কলটি দ্রুত ঠিক করে দেওয়া এবং অবৈধ যায়গাগুলো দখল মুক্ত রাখা।’
শরীফুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট [/author]
: আপডেট ০৫:২৪ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ