চাঁদপুরে পাইকারি সবজির সরবরাহ বেড়েছে

চাঁদপুরে পাইকারি সবজির বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। ফলে দরদামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। বিশেষ করে কাঁচামরিচ, টমেটো, পেঁপে, বরবটি, লাল শাকসহ অন্যান্য শাকসবজির দাম নিম্নমুখী। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতাদের মধ্যে।

চাঁদপুর শহরের পালবাজার। ভোর থেকেই দেশের বিভিন্নস্থান থেকে নানা জাতের সবজি নিয়ে ভিড় করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এতে ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে বেশ সরগরম হয়ে উঠে জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির বাজার।

শীতের শুরুতে সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় বাজারে দাম এখন কমতির দিকে। মৌসুমের এই সময় প্রতিদিন ভোর সাতটা থেকে বেলা এগারোটা এবং বিকেল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বেশ জমজমাট থাকে পালবাজারের শাকসবজি কেনাবেচা।

বেচাকেনাও ভাল। শুধু রাজধানী, কুমিল্লা কিংবা চট্টগ্রাম থেকেই নয়, জেলার বিভিন্নস্থান এবং চরাঞ্চল থেকেও বিষমুক্ত টাটকা শাকসবজি এখানে পাওয়া যায়।

এক বিক্রেতা বলেন, করলা, ধনিয়া পাতা, মুলার শাকসহ বিভিন্ন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে।

আরেক বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম একটু বেশি ছিল। তবে এই সপ্তাহে কাঁচামরিচের দাম একটু কমেছে। গত সপ্তাহে ছিল প্রতি কেজি ১৬০ টাকা এবং এই সপ্তাহে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

এদিকে, সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বিভিন্নস্থান থেকে শাকসবজির সরবরাহ বাড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ী নেতা।

চাঁদপুর পাইকারি কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক মৃর্ধা বলেন, চাঁদপুরে সবজি বেচা বিক্রি ভালো হচ্ছে। কিন্তু এবার সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ভারতে রপ্তানি করছি।

পালবাজারে শাকসবজির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সাড়ে পাঁচশো ব্যবসায়ী। আর কর্মচারী ও শ্রমিক মিলিয়ে আরো কর্মরত আছেন এক হাজার মানুষ।

করেসপন্ডেট,১৭ নভেম্বর ২০২০

Share