চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছেন, ‘চাঁদপুরে ১৪২৪ সালের পহেলা বৈশাখ হবে জাটকা মুক্ত। চাঁদপুর জেলায় কোনস্থানে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে জুয়ার আসর বসলে তা কঠোর ভাবে দমন করা হবে।
রোববার ( ২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুরে পহেলা বৈশাখ উদযাপনকল্পে প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরে কিছু নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বলেন, ‘বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিনি ট্রাকযোগে এবং নদীতে ট্রলার যোগে কোন প্রকার সাউন্ড সিস্টেম বাজানো যাবে না। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। ডাকাতিয়া নদী থেকে ভ্রমণ নৌকা কোনোভাবে মেঘনায় যেতে দেয়া হবে না। নৌকায় টর্স লাইচ ও লাইফ জ্যাকেট থাকা বাধ্যতামূলক।’
গত বছরের রেজুলেশন পেশ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদ হোসেন।
এসময় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বিভিন্ন সিদ্বান্ত গৃহীত হয়।
বিগত বছরের ন্যায় পহেলা বৈশাখ ১৪২৪ চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হবে। এর পাশাপাশি বড় স্টেশন মোলহেডেও পৌরসভার উদ্যোগে মেলার আয়োজন করা হবে।
গতবছরের ন্যায় প্রেসক্লাব ভবনের পেছনের নদীর পাড় এলাকায় গ্রামীণ মেলা বসার স্থানের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বছর পুলিশের পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এবছর ৩দিনের স্থলে ১দিন অনুষ্ঠানের আয়োজনের সিধান্ত।
সকাল সাড়ে ৭টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দই-চিড়া অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পহেলা বৈশাখের শুভ সূচনা হবে। সকাল ৯ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে চাঁদপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সাংস্কৃতির সংগঠনের অংশ গ্রহণে বর্ণিল সাজের সজ্জায় অংশগ্রহনে র্যালি বের করা হবে।
র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দিনব্যাপি অনুষ্ঠান মালার স্থল প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হবে। র্যালিতে পুলিশ বাদক দল ও স্কাউট বাদক দল থাকবে।
সাড়ে ৯টায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলার উদ্বোধন করা হবে। পরে পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া সহ দেশীয় গানের আসর বসবে। দেশিয় সংস্কৃতি ছাড়া অন্য কোন গান পরিবেশন করা যাবে না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে খই-বাতাসার বিতরন করা হবে। উৎসব চলাকালীন সময় সার্বক্ষণিক নদীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দল, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড টহলে থাকবে।
ওই দিন অনুষ্ঠান মেলা সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। সন্ধ্যা ৬ টায় বড়স্টেশন মোলহেডে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেশাতœবোধক চলচ্চিত্র প্রদশর্নী। হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করতে হবে। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি শরীফ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, জেলা কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশীদ প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব জীবন কানাই চক্রবর্তী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, বি এম হান্নান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সালেহ, পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূঁইয়া, চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান, স্কাউটস কমিশনার অজয় কুমার ভৌমিক, শিশু একাডেমীর ডিডি কাউছার আহমেদ, মাতৃপীঠ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা, জেলা তথ্য অফিসার নুরুল হক সহ চাঁদপুরের বিভিন্ন সংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৫০ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৭, রোববার
ডিএইচ