চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষক এবং একই সাথে পরীক্ষার্থী হয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের চীফ ইন্সপেক্টর (ইলেকিট্রক্যাল) মোহাম্মদ সিকান্দার ময়নামতি সার্ভে ইন্সটিটিউট ৩৬০ ঘন্টা মেয়াদী বেসিক শর্ট কোর্স জুলাই-ডিসেম্বরে আমিন শিপ কোর্সের অনাভ্যন্তরীন পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং সেই পরীক্ষায় ডিউটি করার সাথে সাথে পরীক্ষায়ও অংশ গ্রহণ করেন।
এদিকে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলামের স্বাক্ষরিত পত্রে দেখা গেছে মোহাম্মদ সিকান্দারের অন্যবিষয়ে অনাভ্যন্তরীন পরীক্ষক হিসেবে থাকার কথা থাকলেও তিনি সেখানে না থেকে ময়নামতি সার্ভে ইনস্টিটিউট পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষক এবং পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করে।
ময়নামতি সার্ভে ইন্সটিটিউট আমিনশীপ বিষয়ে পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর হিসেবে মোহাম্মদ সিকান্দের নিজ স্বাক্ষর রয়েছে। যার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ৩০০০৫৩৭৫৮৭, কেন্দ্র কোড- ৬৬০২১, প্রতিষ্ঠান কোড- ৬৬০৭৯, বিষয় কোড- ৪৮ ও লিথো কোডের সিরিয়াল নাম্বার ৬২২৮৪১৫০৮।
অন্যদিকে চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে চাকরি জনিত কারনে চাঁদপুর শহরে থাকার কথা থাকলে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে এস ক্লাস করান। শুধু তাই নয়, মোহাম্মদ সিকান্দার নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না। এছাড়া তিনি ১১টা থেকে ১২ টার মধ্যে ক্লাসে এসে উপস্থিত হন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে শিক্ষক মোহাম্মদ সিকান্দারকে গত ২৭ ডিসেম্বর আইট প্যালেস সহ অন্য বিষয়ে পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ময়নামতি সার্ভে আমিনশীপ কোর্সে পরীক্ষক ছিলেন না। আর তিনি এ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলার জন্যে একাধিকবার টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন বলে তার সহকর্মীরা দাবি করেন।
তাকে মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
তবে প্রতিবেদন প্রকাশের দু’দিন পর তিনি চাঁদপুর টাইমসের হটলাইনে ফোন দিয়ে নিজেকে স্বচ্ছ ও কঠোর দাবি করেন। তার কঠোরতার কারণে কোনো কোনো শিক্ষক তার বিরুদ্ধে সাংবাদিককে তথ্য দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন। প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ না করার কারণ সম্পর্কে তিনি দাবি করেন আননোন (সেভ নাম্বার না হলে) কারো ফোন রিসিভি করেন না।
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০