Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেমিক মিলে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা : আদালতে মামলা
পরকীয়া

চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেমিক মিলে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা : আদালতে মামলা

চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেমিক কে নিজ ঘরের ওয়ারড্রপে লুকিয়ে রেখে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছে স্ত্রী। এ ঘটনায় স্বামী শাহাবুদ্দীন গাজী বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী গ্রামের শাহাবুদ্দীন গাজীর সাথে শিলন্দিয়া গ্রামের মুন্নী বেগম এর সাথে ১২ বছর পূর্বে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দেন মোহরে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শাহাবুদ্দীন সৌদি গিয়ে ১ বছর পর একবারে দেশে চলে আসেন। শান্তিতে চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। তাদের সংসার জীবনে ১ ছেলে ও মেয়ে জন্মগ্রহন করে। হঠাৎ ৩ বছর পূর্বে পাশের বাড়ির বিবাহিত প্রেমিক ফয়সাল মিজির সাথে মুন্নী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।

এরপর থেকে লুকিয়ে ফোন আলাপ, অবৈধ সম্পর্কের কারণে সাহাবুদ্দিনের সংসারে নেমে আসে অন্ধকার। স্বামীর প্রবাসে আয় করা টাকা পয়সা স্ত্রী নানা অজুহাতে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক ফয়সালকে দিত বলে জানায় স্বামী সাহাবউদ্দিন।

শাহাবুদ্দীন গাজী জানান, তিনি প্রবাসে থাকাবস্থায় তার টাকা-পয়সা স্ত্রী মুন্নীর নিকট পাঠাতেন। এদিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে মুন্নী পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এরই মধ্যে শাহাবুদ্দিন দেশে আসেন। দেশে এসে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশও হয়েছে। এদিকে শাহাবুদ্দিন তার ২ সন্তানের কথা চিন্তা করে তিনি তার স্ত্রীর অপকর্ম মেনে নেন। এভাবে চলে আসছে তাদের সংসার।

শাহাবুদ্দিন আরও জানান, গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঘরের লাইট বন্ধ করে তার স্ত্রী মুন্নী বেগমকে পরকীয়া প্রেমিক ফয়সালের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপ করার সময় হাতেনাতে আটক করেন। পরে ঘরে ধারালো বটি দা, লোহার রড ও পাইপ পাওয়া যায়। তারা হয়ত দুজন মিলে আমাকে হত্যা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন।

তখন মুন্নী তার স্বামীর সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয় এবং শাহাবুদ্দিনকে হুমকি দেয়। সে রাতেই চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মুন্নীর পরকীয়া প্রেমিক ফয়সাল মিজিকে থানায় নিয়ে যায়। আর মুন্নীকে তার মামার হেফাজতে দিয়ে দেয় স্থানীয়রা। এর পূর্বেও ওয়ারলেস এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মুন্নি ও ফয়সালকে ধরে আনি।

পরে বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লালসহ গর্ণমান্যরা সন্তানদের কথা চিন্তা করে সংসার করার জন্য নির্দেশ দেন।

পরদিন মুন্নীকে থানায় হাজির না করে তার বাবা ও মামা ওসির নিকট ৫ দিনের সময় নেন। ৫ দিন পর মুন্নীকে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে উভয় পক্ষ বসার সিদ্ধান্ত হলেও মুন্নীর পরিবার মুন্নীকে নিয়ে হাজির হয়নি। একটি সূত্র জানায়, মুন্নী তার বাবার বাড়ি থেকে তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও হয়ে গেছে।

এ ঘটনার পর শাহাবুদ্দিন তার ছোট দু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। আর বিদেশে থাকাবস্থায় তার পাঠানো সকল টাকা-পয়সা স্ত্রী মুন্নী বেগম নিয়ে গিয়ে তাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে শাহাবুদ্দিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট