চাঁদপুরে পরকীয়ার টানে সালমা আক্তার তিন্নী (২৬) নামে দুই সন্তানের জননী প্রবাসী স্বামীর ২২ ভরি স্বর্ণলংকার ও নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শহরের পুরাণবাজার পূর্ব জাফরাবাদ পাটওয়ারী পুল সংলগ্ন তপাদার বাড়ির জাহান মঞ্জিল থেকে গত ১৬ অক্টোবর পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়।
জানাযায় পুরান বাজার পূর্ব জাফরাবাজ এলাকার মৃত আঃ মালেক মাস্টারের ছেলে সৌদি রিয়াদ প্রবাসী মোশারফ হোসেনের সাথে ২০০৮ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ সাপদী গ্রামের সফিকুর রহমানের মেয়ে উন্মে সালমা আক্তার তিন্নির সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের ৫/৬ মাস পরে মোশারফ হোসেন পুনরায় আবার বিদেশ চলে যায়। এরমাঝে তাদের ঘরে আরাফাত হোসেন সাড়ে ৬ বছর ও রিফাত নামে সাড়ে ৩ বছর বয়সী দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে বলে জানগেছে।
স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে সালমা আক্তার ধীরে ধীরে বিভিন্ন যুবকের সাথে মোবাইলে কথা বলে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই পরকীয়ার কারনে আস্তে আস্তে তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে অশান্তি নেমে আসে।
প্রবাসী স্বামী মোশারফ হোসেনের দাবি, তার স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনা জানাজানি হলে , পরকীয়ার প্রেমিকের প্রলোভনে গত ১৬ অক্টোবর ভোর রাতে তার স্ত্রী সালমা আক্তার তিন্নি ঘরে থাকা নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা, একটি দামি ডিজিটাল ক্যামেরা, ১২ টি কম্বল ও ২২ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণলংকারসহ ঘরে অন্যান্য প্রয়োজনীয় আসাবসহ প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে বিভিন্নস্থানে অনেক খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি।
মোশারফ জানায় ঘটনার পরই তার শশুর বাড়ির লোকজন তাদের মেয়ের পরকীয়ার ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো মোশারফের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মোশারফ হোসেন আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালত প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরে তার জামিন মঞ্জুর করে বলে সে জানায়।
এ বিষয়ে সালমা আক্তার তিন্নির পিতা সফিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কি হয়েছে না হয়েছে আমি কিছুই বলতে পারবো না। তাদের এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৫০ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ