দেশের অন্যতম প্রদান পাইকারি ইলিশের আড়ত চাঁদপুর মাছঘাট। এখান থেকে প্রতিদিন শত শত মণ ইলিশ রফতানি হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। গত কয়েক বছর ধরে চাঁদপুরের নদীগুলোতে আশানুরুপ ইলিশের দেখা না পাওয়া গেলেও দক্ষিণাঞ্চলীয় ইলিশে চাঙ্গা থাকছে চাঁদপুর মাছঘাট। পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ইলিশ কিনে দেশের বিভিন্ন জেলা শহর এবং গ্রামের পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করে থাকে।
খোজ নিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর মাছঘাটে আসা দক্ষিণাঞ্চলীয় ইলিশগুলো বিক্রি হয় ৩ ক্যাটাগরিতে। এর মধ্যে তাজা ইলিশগুলো ১ম এবং অপেক্ষাকৃত নরমগুলো ২য় এবং পঁচা ইলিশ বিক্রি হয় ৩য় ক্যাটাগরি অর্থাৎ সবচেয়ে কম দামে। এই পঁচা ইলিশ লবনজাত করে সিজনে বিক্রে করা হয়।
এদিকে একশ্রেণীর অসাধু মাছ বিক্রেতা ৩নং ক্যাটাগরির এই পঁচা ইলিশকে এক অভিনব কায়দা তাজা করে প্রতারিত করছে ভোক্তাদের। তারা আড়ত থেকে পাইকারি দরে পঁচা ইলিশ কিনে তাতে আলতো করে লবন লেপ্টে বরফজাত করে থাকে। যাতে করে পঁচা ইলিশের লালচে রঙটা চকচকে রূপালী হয়, আর নরম পঁচা মাছের শরীরটা হয় শক্তপোক্ত। এসব মাছ বিভিন্ন শহরের পাড়া মহল্লায় বিক্রি করা হয় তাজা ইলিশ বলে।
১৩ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে চাঁদপুর মাছ ঘাটের বাইরে এমন দৃশ্য ধরা পড়ে চাঁদপুর টাইমসের প্রতিবেদকের ক্যামেরার। ওই অসাধু মাছ বিক্রেতা জানান, এই পঁচা ইলিশগুলো তারা কম দরেই বিক্রি করে থাকেন।
চাঁদপুর মাছঘাটের আড়তদারদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ঘাটে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা অপেক্ষাকৃত নরম ইলিশগুলো কম দরে বিক্রি করা হয়। কিছু খুচড়া বিক্রেতা সেগুলো ক্রয় করে বরফ এবং লবন দিয়ে পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করে থাকে। তবে এটি একবারেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দু’চারজন খুচরো বিক্রেতা এসব করে থাকে।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,১৪ সেপেটম্বর ২০২০