চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩নং হানার চর ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে জেলেরা। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় পুলিশ ওই এলাকা থেকে কারেণ্ট জাল সহ ৯টি নৌকা জব্দ এবং রাশেদ হাওলাদার নামে একজন আটক করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল হাশেমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মেঘনা নদীতে টহলরত অবস্থায় হানারচর ইউনিয়নে গেলে এক জেলে নৌকার সাথে প্রথমে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়।
এর এক পর্যায়ে ওই এলাকার চিহ্নিত কয়েকশত নারী পুরুষ জেলেরা পুলিশকে লক্ষ করে ডাঙা থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে করে পুলিশের বহনকৃত স্প্রিড বোটে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পুলিশ সংঘবদ্ধ জেলেদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে নদীর মধ্যে তিন রাউন্ড ফাকা গুলি করে।
পুলিশ হানারচর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গির গাজী, দুলাল হোসেন, রহমান সরকার, নুরুল ইসলামসহ ৯ জনের নৌকা ও কারেণ্টজাল জব্দ করে নৌ পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আঃ সাত্তার রাঢ়ি ঘটনার খবর জানতে পেরে দ্রুত ছুটে আসেন।
তার ওপরও ৪নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির রুবেল হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাশেদ হাওলাদার, মোঃ সেলিম দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের উপর হামলা চালায়।
এসময় স্থানীয় জনতা হামলাকারী রাশেদ হাওলাদারকে জনতা আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আঃ সাত্তার রাঢ়ি জানান, নদীতে শুধু মাত্র এই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বারের নেতৃত্বে জেলেরা মা ইলিশ নিধন করছে। পুলিশের সাথে জেলেদের সংঘর্ষ বেধেছে তা জানতে পেরে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। ৫নং ওয়ার্ডের সরকার বাড়ি এলাকার মেঘনা নদীতে ১১ অক্টোবর রাতে আমি নিজে অভিযান চালিয়ে দুটি নৌকা আটক করেছি।
যারা আমার উপর দোষা চাপানোর চেষ্টা করছে। তারাই প্রকৃত পক্ষে মা ইলিশ নিধনের অপরাধী। এদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। আমার যে সব জেলেরা হামলার চেষ্টা করেছে তাদের মধ্য থেকে লোকজন রাশেদ হাওলারকে আটক করেছে।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৫:০৩ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭ বৃহস্পতিবার
ডিএইচ