চাঁদপুর

চাঁদপুরে নৌপথে যাত্রী সংকটে ১০টি লঞ্চ চলাচল বন্ধ

চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে যাত্রী সংকটে ১০টি লঞ্চের চলাচল বন্ধ রয়েছে। ধারণ ক্ষমতার চার ভাগের একভাগ যাত্রীও মিলছে না লঞ্চগুলোতে। এমন পরিস্থিতিতে অব্যাহত থাকলে ওই রুটে সবগুলো লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। আর বন্দর কর্মকর্তা বলছে লঞ্চ বন্ধ হলেও যাত্রী যাতায়াতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

জানা যায়, চাঁদপুর-ঢাকা রুটে নিয়মিত প্রতিদিন প্রায় ১৮টি লঞ্চ চলাচল করলেও করোনায় দিন দিন যাত্রী সংকট তা অর্ধেকে নেম এসেছে। এতে লঞ্চগুলোর জ্বালানী খরচও মিটাতে না পারায় ১০টি লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছে মালিক পক্ষ।

বন্ধ হয়ে যাওয়া লঞ্চগুলো হচ্ছে- রফ রফ কোম্পানীর ৩টি লঞ্চ, সোনার তরীর ২টি লঞ্চ, ময়ূর কোম্পানীর ২টি লঞ্চ, জম জম কোম্পানীর ১টি লঞ্চ, তাকোয়া ও মিতালি-৭।

অপরদিকে লঞ্চগুলো বন্ধ হওয়ায় ঢাকা থেকে যেসব লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে আসে সেগুলোই আবার ছেড়ে যাচ্ছে। তবে ১শ’ থেকে ২৫০জন যাত্রী নিয়ে তার ঘাট ছাড়ছে।

প্রিন্স অব রাসেল-৩ ও এমভি গ্রীণ ওয়াটার-১০ মালিক রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, ৩১ মে থেকে সরকারের নিদের্শনায় ২৩/২৪ টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল শুরু করে ছিল। প্রথমে প্রচুর পরিমান যত্রী আনতে পারতো তাই মালিকরা লাভবান থাকতো।

তিনি বলেন, হঠাৎ যাত্রী কমে যাওয়ায় প্রতিটি লঞ্চে প্রায় ১ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই সরকার যদি কিছুটা ভাড়া বাড়াতে তাহলে হয়তো এই রুটে কিছু লঞ্চ চলতে পারতো।

রফরফের মালিক প্রতিনিধি আমির হোসেন কালু বলেন, কোম্পানির ৪ টি লঞ্চ প্রথমে চলাচল করেছে। যাত্রী সংকটের কারনে ৬০/৭০ হাজার টাকা লোকসানের কারনে ২টি লঞ্চ বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন চাঁদপুররের উপ-পরিচালক এ কে এম কায়ছারুল ইসলম বলেন, চাঁদপুর থেকে ঢাকায় প্রথম হাফে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ১২ টি লঞ্চ যাতায়াত করতো কিন্তুু করোনা কালে যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় ৬/৭ টি লঞ্চ চলাচল করছে।

আর সেকেন্ড হাফে ৬ টি লঞ্চের স্থলে ২/৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। এছাড়া এখন মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে লঞ্চে যাত্রী হচ্ছেনা। মালিকগনের লোকসান হচ্ছে। তাই যাত্রীদের কোন রকম যেন ভোগান্তি না হয় তাই লঞ্চগুলো টাইম ম্যানেজমেন্ট করে সে ভাবেই চালাচ্ছে। তাতে মালিক বা যাত্রীদের কাছ থেকে কোন প্রকার ভোগান্তি বা সমস্যা ও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধ করা হয় নি। সে ক্ষেত্রে মালিকগন সবদিক বিবেচনা করে লঞ্চ পরিচালনা করছে। এতে সর্বিক বিবেচনায় কোন পক্ষের কোন সমস্যা হচ্ছে না। আর মালিকেদের কে লঞ্চগুলো চালাতে হবে ও বাঁচতে হবে। সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। আর যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সে ক্ষেত্রে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। (প্রবাহ)

করেসপন্ডেট, ১৮ জুলাই ২০২০

Share