চাঁদপুরে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. রফিকুল্লাহ কোম্পানির জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর রোববার বাদ জোহর শহরের নতুন বাজারস্থ সফিনা বডিংয়ের পাশে মরহুমের নিজ বাড়ির জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মুফতি সিরাজুল ইসলাম।
জানাজার নামাজে পূর্ব মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব ওসমান গনি পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনির আহমেদ, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি,চাঁদপুর বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও বাগাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বেলায়াত হোসেন গাজী বিল্লাল।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডিও পাটোয়ারী সঞ্চালনায়
বক্তারা বলেন, মরহুম রফিকুউল্লাহ পাটোয়ারী একজন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি একজন পরোপকারী ও সদা হাস্যজ্জল, ভালো মানুষ হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে রফিকুল্লাহ পাটোয়ারী পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে। বিশেষ করে তার বড় ভাই শহীদ জাবেদ মহান মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুর শহরের প্রথম শহীদ ছিলেন। এমন একজন মানুষকে নিজ বসত ঘরে দুর্বৃত্তের ছুরির আঘাতে খুন হতে হবে, এটি মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের। চাঁদপুর শহরের মতো একটি শান্তিপূর্ণ জেলায় এটি আমরা কখনই প্রত্যাশা করিনি। আমরা অবিলম্বে দোষীকে সনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
এ সময় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন। জানাযার নামাজ শেষে মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় সায়িত করা হয়। এর আগে পোস্টমডেম শেষে পুলিশ মরহুমের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
উল্লেখ : ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির কক্ষে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শহীদ জাবেদের ছোট ভাই মো. রফিকউল্লাহ (৭০)। স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর কে যেন হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানায়। পুলিশ জানায়, নিহত রফিক উল্লাহর শরীলে ধারালো ছুরির একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফলে প্রাথমিক ধারণা থেকে তার খুন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২