চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড়স্থ বিকল্প লঞ্চঘাটের পাশেই প্রায় শতকোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক নৌ-টার্মিনাল। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্ভলিক এই নৌ-টার্মিনালের প্রাথমিক কাজ সম্পাদনে ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই প্রকল্পের জন্য ৬৬ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে সরকার।
সোমবার (১১ জুন) সকালে এই প্রকল্পের অর্থযোগানদাতা বিশ্ব ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল নির্মানের স্থান পরিদর্শন করেছেন।
এসময় কর্মকর্তাগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, রাজনীতিক সহ বিভিন্ন মহলের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন এবং নৌ-টার্মিনাল নির্মাণের স্থান ও এর আশপাশ ঘুরে দেখেন। বিশ্ব ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধি দলের মধ্যে কর্মর্তাদের মধ্যে রয়েছেন, বিআইডবিøউটিএ’র উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. ফরহাদুজ্জমান, আইমেরিটিয়ান প্রজেক্ট টিম লিডার ডা. ডেবিদাস বিধি, ভায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেড এর ম্যানাজার সন্তোস দাস, ইউনিকম ইন্টেলেক্স লিমিটেড এর জেনারেল ম্যানাজার এসএম রাসেদুল ইসলাম। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিথ ছিলেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জামাল হোসেন, নৌ-পুলিশের এসপি সুব্রত কুমার হালদার, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, বিআইডাবিøউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, বিআইডাবিøউটিএর সহকারী পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা) শহীদুল ইসলাম, চাঁদপুর সদর-হাইমচর নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি এমপির প্রতিনিধি অ্যাড. সাইদুল ইসলাম বাবু, রামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান পাটওয়ারী, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ভূইয়া, মঞ্জু মাঝি, নৌ- থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম ভূইয়া পিপিএম প্রমুখ।
এ বিষয়ে চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান ও বিআইডাবিøউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামসহ প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলে জানা যায়, চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালকে আধুনিকায়নের কাজ চলমান রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ওয়াল্ড ব্যাকের ফান্ডে বিআইডবিøউটিএ এর এস-৩ প্রজেক্টে শসানঘাট, চাঁদপুর, বরিশাল এবং নারায়নগঞ্জ লঞ্চঘাটের টার্মিনাল আধুনিকায়নের কাজ যে তিনটি কোম্পানি পেয়েছে সেই কোম্পানির প্রতিনিধিগণ আজ চাঁদপুর নৌ- টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন। তারা স্থান পরিদর্শণ করে দেখার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট স্থানীয়দের চাহিদা এবং সমস্যা কি রয়েছে তা নির্ণয় করে একটি মাস্টার প্লান করবেন। এই মস্টার প্লানের মধ্যে আধুনিক নৌ-টার্মিনালের কোথায় কি হবে তার একটি ম্যাপ তৈরী করে আবারো সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করে প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ ম্যাপ করা হবে।
তাঁরা আরো জানান, এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার ৬৬ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে। তবে কাজ শুরু হলে এই এর নির্মাণব্যায় আরো বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এককোটি টাকা খরচ হতে পারে। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছেন, জমি অধিগ্রহণ, জমি উন্নয়ন, ৩ তলা বিশিষ্ট আধুনিক নৌ-টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, সেখানে ৪টি পল্টুন, ৩টি গ্যাংওয়ে, ৩টি র্যাম ও ২২টি স্পাত, ২টি আরসিসি জেটি এবং ২টি স্টিল থাকবে। এছাড়াও লঞ্চঘাটে যানচলাচলে দুটি আলাদা সড়ক ৩০ ফুট প্রশস্ত করা হবে।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম