চাঁদপুর পৌরসভার কতৃক পশু কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয় প্রতিবছর। কিন্তুু এই নিয়ম মানার ক্ষেত্রে পৌরবাসীর মাঝে এখনো সচেতনতা দেখা যায়নি। তারা নিয়ম ভাঙার নিয়মের এবারও আবদ্ধা ছিলো। তবে এবছর এই প্রবণতা অনেকটাই কমে এসেছে। নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করেছে অনেকেই।
আজ (২২ আগস্ট) বুধবার সকালে পৌর এলাকার ওয়্যালেছ বাজার, চেয়ারম্যান ঘাট, ব্যাংকলনী, পফেসর পাড়া, মমিন পাড়া, আদালত পাড়া, ব্যাস্টেন্ড নতুন বাজার ও পুরাণ বাজারের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় পাড়া-মহল্লার অলিতে-গলিতে, কোরবানিদাতাদের বাসার সামনে, রাস্তা-ফুটপাতে এমনকি জেলা শহরের প্রধান আর হাইওয়ে সড়কের পাশেও কোরবানি দেওয়া হয়েছে।
ঈদের নামাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানি, মাংস কাটাকাটি, চামড়া ছাড়ানো আর বণ্টনের কাজ শুরু হয়।
কেউ কেউ পড়া মহল্লার অলি-গলি বন্ধ করে নিজেদের বাড়ির সামনে কোরবানি পশু জবাই করছেন আর পশুর রক্ত-বর্জ্য ফেলছেন। পৌর কতৃপক্ষ এসব দ্রুত পরিষ্কার না করলে দুর্গন্ধের পাশাপাশি রোগ-বালাই ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন সচেতন মানুষেরা।
অনেকেই আবার অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভা কতৃক কোরবানির পশু জবাই করার নির্ধারিত স্থানটি বাসা থেকে বেশি দূরত্ব হওয়ার কারণে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এ কারণেই মূলত পৌর কর্তৃপক্ষের নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানে পশু কোরবানি করা সম্ভব হয়নি’।
তাই তারি দাবী করেন শহরের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পৌর কতৃপক্ষ আগামীতে কোরবানির পশু জবাই করার স্থান বাড়ানোর পাশাপাশি পৌরবাসীকে সচেতন করণে জোড়ালো পদক্ষেপ নিবেন।
প্রতিবেদক:
আশিক বিন রহিম।।