চাঁদপুরের অত্যাধুনিক ও নান্দনিক সরকারি জেলা গণগ্রন্থগারের যাত্রা শুরু।এতে বিভিন্ন প্রকারের বই সংখ্যা ২৪ হাজার ৩শ ৬৩ টি। বইগুলোর মধ্যে রয়েছে-সাহিত্য,ইতিহাস,ভূগোল,গণিত,বিজ্ঞান,আইটি,বিভিন্ন রকম সরকারি গেজেট,বিভিন্ন ম্যাগাজিন।এছাড়াও সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রেফারেন্স ও সাম্প্রতিক তথ্যসেবা,উপদেশমূলকসেবা ও পুরাতন পত্রিকা ইত্যাদি।
সপ্তাহে শনিবার-বুধবার পর্যন্ত সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উম্মুক্ত রয়েছে। জাতীয় পত্রিকার মধ্যে রয়েছে দৈনিক যুগান্তর,প্রথম আলো,সমকাল
জনকণ্ঠ,ইত্তেফাক, ইনকিলাব,সংবাদ ও নয়াদিগন্ত। চাঁদপুরের আঞ্চলিক পত্রিকার মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর কন্ঠ।
ইংরেজি পত্রিকার মধ্যে রয়েছে ডেইলি স্টার ও বাংলাদেশ পোস্ট। সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে রয়েছে রোববার, মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও ক্রীড়াজগৎ। একটি মিলনায়তন, সাধারণভাবে ১শ জন বসে পাঠ্যাভ্যাস ও মিলনায়তনে ১৫০ জন বসার ব্যবস্থা রয়েছে সেমিনার করার জন্যে ব্যবহার করা যাবে। সাহিত্য কেন্দ্র অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থা রয়েছে তবে এখন পর্যন্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশ আসেনি করোনার কারণে।
সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ও নান্দনিক চাঁদপুরে জেলা গণগ্রন্থাগার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘ছয় জেলা পাবলিক লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ প্রকল্প’র অধীন চাঁদপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
চাঁদপুর-হাইমচর আসনের এমপি ও শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি ১ নভেম্বর ২০১৮ এর উদ্বোধন করেন। এটি সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুর সদরের ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বে বিটি সড়কের পশ্চিম পাশে
.২২ শত্যাংশ ভূমির ওপর ৬ তলা ভীতে এটি নির্মাণ হয়েছে। চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬ তলা ভবনে এটি রূপলাভ করবে।
নতুন প্রজন্মের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা ও গ্রন্থাগারের আকর্ষণের জন্য আরো সম্প্রসারণমূলক কাজের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা,হাতের সুন্দর লেখা প্রতিযোগিতা,চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এর মধ্যে অন্যতম। ইন্টারনেট ও উপদেশমূলক সেবা প্রদান করার ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। গ্রন্থাগারে অত্যাধুনিক ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় জনবলও রয়েছে ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে,দেশের গণগ্রন্থগার অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘ছয় জেলা পাবলিক লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ প্রকল্প’র অধীন চাঁদপুর জেলা সরকারি গণ গ্রন্থাগার ভবনটি অত্যাধুনিক জেলা গণগ্রন্থাগার হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। ত্রি-তল ভীতে এ সরকারি গণ গ্রন্থাগার ভবনটিতে আধুনিক সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
এ সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে-সাধারণ গ্রন্থাগার,অনার্স-মাস্টারর্স শিক্ষার্থীদের জন্যে ই-গ্রন্থগার, ই-গ্রন্থাগারের জন্যে পর্যাপ্ত ল্যাপটপ ও আসবাবপত্র,
শিশুদের পড়ার সু-ব্যবস্থা,প্রতিবন্ধীদের র্যামওয়ে,
৩শ’আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম ও মঞ্চ,ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ও অতিক্ষমতাসম্পন্ন ফ্রি-ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যবস্থা,নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা,প্রয়োজনীয় সংখ্যক গ্রন্থ, জাতীয়-স্থানীয় দৈনিক বাংলা ও ইংরেজি সংবাদপত্র,বিভিন্ন প্রকার সাময়িকী ও জার্ণাল ইত্যাদি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি লাইব্রেরিয়ান উম্মে রায়হান ফেরদাউস বলেন,‘এর কাজ কর্মশুরু হয় জুলাই ২০১৯ খেকে । তবে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছে একটু বিলম্বে। গণপুর্ত বিভাগ, চাঁদপুর ১৩ সেপ্টেম্বর আমাদের নিকট আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করে। করোনা পরিস্থিতিতে বিগত কয়েক মাস পর আবার এর কার্যক্রম শুরুহলো ।
গণপূর্ত বিভাগের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, ‘প্রথম পর্যায়ের ৬টি অত্যাধুনিক জেলা পাবলিক লাইব্রেরির মধ্যে চাঁদপুরের একটি। এ লাইব্রেরি থেকে জ্ঞানপিপাষূগণ নিয়মিত আধূনিক সেবা পাবেন।
অনার্স-মাস্টারর্স শিক্ষার্থীদের জন্যে ই-গ্রন্থগার ও ই-গ্রন্থাগারের জন্যে পর্যাপ্ত ল্যাপটপের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের যে কোনো বিষয় জানতে পারেবে। ফ্রি-ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠকগণ বই,সংবাদপত্র, বিদেশি জার্ণাল ও সাময়িকী পড়ার সেবা পাবেন।’
তিনি আরোও বলেন, ‘২৫০ থেকে ৩শ আসন বিশিষ্ট যে অডিটরিয়ামটি রয়েছে তা সরকারি ও বেসরকারি যে কোনো সভা বা আলোচনা বা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার সুযোগ পাবে। প্রতিবন্ধীগণও জ্ঞান অর্জন ও ই-লাইব্রেরির সুযোগ পাবে।’
আবদুল গনি,২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০