চাঁদপুরে নবান্ন উৎসবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

নবান্ন উৎসব ১৪২৮ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে। ২১ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় এই নবান্ন উৎসবের আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভা প্রধানের বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন।

এ সময় তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের প্রান হচ্ছে দর্শক। দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের পরিবেশন কারীরা অনুপ্রেরণা পায়। আজকে যে মাত্রায় আমরা উপস্থিতি আশা করেছিলাম সে মাত্রায় অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। বাংলার সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক হচ্ছে এই নবান্ন উৎসব। হেমন্তের সময় ধান কাটা শুরু হলে পিঠাপুলির ধুম পড়ে যায়। এসব ঐতিহ্যের কথা যেনো আমরা দিনে দিনে ভুলে যাচ্ছি। বাংলার কৃষ্টি-কালচারকে এবং এসব ঐতিহ্যকে আমাদের হৃদয়ে লালন করতে হবে’।আমরা আস্তে আস্তে আধুনিক হচ্ছি কিন্তু আমরা বাংলার ঐতিহ্য যেনো ভুলে না যাই সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তিনি বলেন এই নবান্ন উৎসব টি আরো পরে করলে ভালো হহো। যখন শীত বেশি পড়তো তখন শুরু হলে অনেক জাঁকজমকপূর্ণভাবে নব নবান্ন উৎসবটি উদযাপন করা যেতো।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমীতে যারা জড়িত রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আর এই সংস্কৃতি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা চাঁদপুরকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি। কারণ কুমিল্লা বিভাগটি ঘোষণা করা হলে এক্ষেত্রেও চাঁদপুর অনেক অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন,জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সরোয়ার, চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ- সহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল-আমিন, বিশিষ্ট ছড়াকার পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশিদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য ও অন্যান্য নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত প্রশিক্ষক কন্ঠ শিল্পী মৃণাল সরকার, অনিতা নন্দী ও নিত্য প্রশিক্ষক সোমা দত্তসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বরলিপি নাট্যদলের সভাপতি এম আর ইসলাম বাবু।

নবান্ন উৎসবে আগত অতিথিবৃন্দ ও দর্শকদের নানা রকমের পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেন চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য ও সংগীত দলের শিল্পীবৃন্দ।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ২১ নভেম্বর ২০২১

Share