চাঁদপুর শহর ঘেষে বহমান পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়ার নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে তীরবর্তী ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আবারও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচানোর আশংকা করছে তীরবর্তি বাসিন্দারা।
সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে নদীতে পানি বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাঁদপুর শহর ও নদীর দু’তীরের বাসিন্দার মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার বিপদ সিমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উত্তাল পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে জোয়ারের তীব্রতা রয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর শহরের এসবি খাল নদীর জোয়ারের পানির কারনে ছোট-খাট নদীতে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনেজ দিয়ে জোয়ারের পানি রাস্তায় উঠে পড়ে। শহরের নাজির পাড়া, বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড, রহমতপুর কলোনী, বঙ্গবন্ধু সড়ক, কোড়লিয়া, মাঝিবাড়ি রোড, পুরাণবাজারের পূর্ব শ্ররামদী, পশ্চিম বাজার, হরিসভা, রণাগোয়াল, দোকানঘর, রঘুনাথপুরসহ শহরের নিমাঞ্চলগুলো জোয়ারের পানি প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলি জমির সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামাঞ্চলের খালের পাশের অনেক উচু স্থানে সোমবার পানি উঠে। এমে করে পটল, ঢেড়স, পুঁইশাক, ডাটা, করলাসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া উত্তাল মেঘানার ভাঙনে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী, আনন্দবাজার, দাসাদী, সফরমালী, বিষ্ণুপুরসহ বিভিন্ন নদী তীর বর্তী রাস্তাগুলোতে নদীর পানি উঠে পড়ে। এর মধ্যে সবজির মৌসুম শেষ না হতেই এসব সবজি ক্ষেতে পানি ঢুকে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। বৃষ্টি ও নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধিতে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এর প্রভাব কাঁচা বাজারে পড়বে বলে আশংঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষে পুজি বিনিয়োগ করে লাভ তো দূরের কথা আসলটাই ঘরে তুলতে পারলাম না। লাল শাক, পুইশাকতো গেছে, কিছু উচু যায়গায় ঢেঁড়স লাগিয়েছি তাতে জোয়ারের পানি উঠে পড়েছে। ক্ষেতে একবার পানি উঠলে সে ক্ষেতের ফসল সাধারণত টেকানো যায় না।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ ১ : ০ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ