অনুমোদনহীন কারখানায় চাঁদপুরে তৈরি হচ্ছে নকল হুইল পাউডার ও লিকুইড

চাঁদপুরের ইসলামপুর গাছতলা গ্রামে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই অনুমোদনহীন মিনি কারখানায় তৈরি হচ্ছে হুইল পাউডার, ভিম সাবান ও লিকুইডসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী। এমনকি সার্ফ এক্সেলের লোগো নকল করে বিএসটিআই,র লেবেল ব্যবহার করে সেগুলো চাঁদপুরের বিভিন্নস্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার নিজ গাছতলা, বাগাদী চৌরাস্তা, নানুপুর, বাগড়া বাজার সহ বিভিন্ন মুদি দোকানে খবর নিয়ে জানা গেছে, “নিয়ামা টয়লেট্রিস বাংলাদেশ “নামের কারখানার বিভিন্ন পন্য তাদের দোকানে রাখছেন তারা। গ্রামের সাধারণ মানুষজন ভালো করে না জেনে, না বুঝেই নামি দামি কোম্পানী এবং বিএসটিআই,র লোগো দেখে তা ক্রয় করছেন সানন্দে। কিন্তু এসব নকল হুইল পাউডার, ভিম সাবান, ভিম লিকুইড কতটা মানসম্পন্ন, কি দিয়ে তৈরি এবং কতটা কার্যকর তা কেউ যাচাই না করেই কিছুটা মূল্য কম পেয়ে নিজেদের প্রয়োজনে তা ক্রয় করছেন।

জানা যায়, চাঁদপুর-রায়পুর ব্রীজের দক্ষিন এবং পশ্চিম পাশে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের ইসলামপুর গাছতলা দারুসসালাম গ্রামের গাজী বাড়ির মাসুদ গাজী নামের এক ব্যক্তি গত কয়েক বছর ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে “নিয়ামা টয়লেট্রিস বাংলাদেশ” নামের এমন নকল হুইল পাউডারের কারখানা পরিচালনা করে আসছেন। তবে একটি কারখানা পরিচালনা করতে হলে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অনুমোদনের প্রয়োজন। তার কাছে তেমন কিছুই নেই। তবুও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন তার এমন নকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গাছতলা দারুসসালাম গ্রামের নিজ গাজীর বাড়ির সামনেই দুটি কক্ষের একটি টিনসেট পাকা বিল্ডিংয়ে সোটা দিয়ে নিজেই তৈরি করছেন এমন পন্য সামগ্রী। নেই কোন সহকারী কর্মচারীও।

তার ওই মিনি কারখানায় তৈরি হচ্ছে হুইল পাউডার, ভিম সাবান, ডিসওয়াশ, লিকুইড, হ্যান্ড ওয়াশ,টয়লেট ক্লিনার, ভিক্সল, ডিসওয়াশ বার, মাজুনিসহ বিভিন্ন সামগ্রী। আর সেগুলো তিনি বাজারের নামকরা কোম্পানীর লোগো নকল করে প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআই,র লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত করছেন নিয়মিত। আর এতে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বছরের পর বছর এমন মিনি কারখানা পরিচালনা করে আসলেও বিষয়টি প্রশাসন কিংবা ভোক্তা অধিকারের নজরে না পড়ায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। তাই এমন নকল কারখানার বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি সচেতন মহলের।

এ বিষয়ে কারখানার পরিচালক মাসুদ গাজী বলেন, বিএসটিআইতে আমার কাগজ পত্র পক্রীয়াধীন আছে। তাই আমি বিএসটিআইর লোগো ব্যবহার করছি।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১০ নভেম্বর ২০২৪

Share