সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদী ভাঙন প্রতিরোধের সতর্কতামূলক প্রতিরক্ষার জিউ ব্যাগের কাজ। এই নদী ভাঙন রক্ষা বাঁধের কাজটি সম্পন্ন করা হলে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে মুক্তি পাবে ওই অঞ্চলের প্রায় দুই লক্ষাধিক পরিবার।
জানা যায়, গত কয়েক মাস পূর্বে চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের আলুর বাজার ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়। তারই প্রেক্ষিতে এই ভাঙ্গন প্রতিরক্ষার কাজের বরাদ্দ হলে, গত ১৩ মার্চ এই ভাঙ্গন প্রতিরক্ষা কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। তারপর থেকেই এই ভাঙ্গন রক্ষা বাঁধের জিও ব্যাগের কাজ খুব দ্রুতগতিতে এগুতে থাকে।
খবর নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১ নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের আলুর বাজার ফেরি ঘাট এলাকার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাশে নদীর তীরে ভাঙ্গন কবলিতস্থানে ৭২০ মিটারের জিউ ব্যাগের কাজের ধরা হয়। সেখানে আরও ২০০ মিটারের কাজ সম্পন্ন করা হলে, অচিরেই বাকি আরো ২০০ মিটারের কাজ বরাদ্ধ হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন কর্তৃপক্ষ। আর এই বাকি ২০০ মিটার জিউ ব্যাগের কাজের মাধ্যমে নদীর তীর সংরক্ষণ করা হলে ঈশানবলা, আলুর বাজার, চরসেনচাস, শরিয়তপুর, ভেদরগঞ্জ, এলাকার শত শত নদী ভাঙন কবলিত পরিবার মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। কাজের অগ্রগতি দেখে জানতে চাইলে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানান আগামি এক মাসের মধ্যেই এই ভাঙন প্রতিরক্ষার কাজটি সম্পন্ন হবে।
ইব্রাহিমপুর আলুর বাজার ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা নদীর পশ্চিম পাশে ভাঙন কবলিত স্থানের বালুভর্তি জিউ ব্যাগের কাজ চলছে। ট্রলারযোগে আনা হচ্ছে শত শত বালুভর্তি জিউ ব্যাগ এবং মাঠেও সাজানো রয়েছে অগনিত মাটি ভর্তি জিউ ব্যাগগ। আর সেখান থেকেই শ্রমিকরা নদীর তীরে ব্যাগ ফেলছেন। ১৫/২০ দিন পূর্বে এই জিও ব্যাগের কাজ ধরা হয়। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন ও চাঁদপুর-শরীয়তপুর ভাঙন রক্ষা বাঁধের দুটি প্যাকেজে এ কাজের টেন্ডার পান ঢাকার টেকবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেখানে প্রতিদিন ২৫০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন।
টেকবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি কাজী মাইনুল হাসান জানান, ১৫/২০ দিন আগে ইব্রাহিমপুর আলুর বাজার ফেরিঘাট এলকার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে দুটি প্যাকেজে এই মেঘনা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে সতর্কতামূলক প্রতিরক্ষার কাজ করা হয়। এখানে প্রতিদিন ২৫০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমানে এখানে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৭২০ মিটারের জিউ ব্যাগের কাজ চলছে। আশা করছি আরো ২০০ মিটারের কাজ করা হলে অচিরেই বাকি ২০০ মিটারের কাজ বরাদ্ধ হয়ে যাবে। আর এ কাজটি সম্পন্ন হয়ে গেলে এই অঞ্চলের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ গঙ্গা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,১০ এপ্রিল ২০২১