গত ২০ অক্টোবর চাঁদপুর জেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় শহরের অভ্যন্তরে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান, লরিসহ ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং ট্রাক্টরকে শহরের রাস্তাগুলোতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।
কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অনেকটা উপক্ষা করেই দিনের বেলা শহরে ট্রাক, লরি ট্রাক, কার্ভাড ভ্যানসহ বড় ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ইতিবাচক কিছু দিকও রয়েছে। এসব ভারী যানবাহন পূর্বের তুলনায় কম চলাচল করলেও মাঝে মাঝে শহরের সরু রাস্তাগুলো দিয়ে দু’একটি ট্রাক ঢুকে যাচ্ছে। এতে করে ওইসব রাস্তাগুলো দিয়ে পূর্বের মতোই তীব্র যানজট তৈরী হচ্ছে।
এদিকে সিদ্ধান্তের পর কৃষি উপযোগী ও বর্তমানে যানবাহন হিসেবে ব্যাবহৃত রাস্তার জন্য ক্ষতিকর ট্রাক্টর শহরের রাস্তাগুলোতে দিনের বেলা চলাচল তেমন চোখে না পড়লেও রাতের বেলা সর্বোচ্চ গতি ও বিকট শব্দে চলাচল করছে।
প্রসঙ্গত, ওইদিনের সভায় যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদারসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, অন্য জেলার ও অবৈধ সিএনজি শহরে ঢুকতে না দেওয়া, জানুায়ারী মাস থেকে ট্রাক্টর সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে যানজট নিরসনে প্রশাসনের পূর্ণ হস্তক্ষেপ না থাকায় যানজট তুলনামূলক কমছে না। তবে অন্য জেলার সিএনজি চাঁদপুর প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যে চাঁদপুরের সিএনজিগুলোর সামনের অংশে হলুদ রং লাগানো হয়েছে। এতে অন্য জেলার সিএনজিগুলো সনাক্ত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহজ হচ্ছে।
যানজটের মূল কারণ সম্পর্কে ওইদিনের সভায় জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছেন, “চাঁদপুর শহরের রাস্তাগুলো অত্যন্ত সরু। যার কারণে এখানে যানজট রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই রাস্তাগুলো আরো চওড়া হোক। যানজট নিরসনে অতি শিগ্রই রাস্তাগুলো প্রসস্থকরণে পৌর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এ ব্যাপারে আমাদের যতো সহযোগিতা করা প্রয়োজন আমরা করবো।”
এ ব্যাপারে চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার আলোকিত চাঁদপুরবে বলেন, যানজট নিরসনে শহরের রাস্তাগুলোতে ট্রাক চলাচল করছে না বা করলেও ট্রাফিক সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে। অবৈধ যানবাহন প্রতিনিয়ত আটক করা হচ্ছে।”
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আলোকিত চাঁদপুরকে জানান, “মোবাইল কোর্টের বিষয়টি এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, তবে দিনের বেলা ভারী যানবাহন চলাচলে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিচ্ছে”
জ্বালানী তৈল বহনকারী বাহনের বিষয়ে তিনি বলেন, “এগুলো এ মুহুর্তে বন্ধ করা যাচ্ছে না, কারণ তেল সংগ্রহের বিষয়ে রাত-দিন বিষয়ে তাদের কিছু সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে, সে বিবেচনায় এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না”
দেলোয়ার হোসাইন
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট: ০১:৪০ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার
ডিএইচ