চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে শারমিন আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
শারিরিক নির্যাতনে গৃহবধূ প্রায় মানসিক রোগীর মতো হয়ে যায়। তার এমন করুন অবস্থা দেখে হাসপাতালে তাকে দেখার জন্য ভিড় জমান।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেওকে তার কোন উন্নতি না হওয়ায় তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গৃহবধূ শারমিন বেগমের বাবা ইব্রাহিম জানায়, ‘ছেলে জয় ও বাড়ির অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলাধূলা করছিলো। খেলার ছলে বাড়ির শুক্কুর তাতীর ছেলে শাকিলের সাথে ঝগড়া হয়। পরে শুক্কুর তাতী জয়কে মারধর করে। তার ডাকচিৎকারে আমার মেয়ে শারমিন বেগম ছুটে আসলে শুক্কুর তাতী ও একই বাড়ির তার আত্মীয় হাসান দেওয়ান, মোশারফ, আল আমিন, মামুন, মোস্তফা আমার মেয়েকে বেধরক মারধর করে।শারিরিক নির্যাতন চালায়। তাদের নির্মম হামলায় আমার মেয়ে শারমিন গুরুতর আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে।’
খবর পেয়ে এসে শারমিনকে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় হামলাকারীরা বাধা দেয়।
পরে বাড়ির লোকজন গৃহবধূ শারমিনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। শারমিন বেগমের অবস্থা আশংঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা প্রেরণ করে। এঘটনায় শারমিন বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হান মো. ওমর ফারুক জানান শারমিন বেগমের যে খ্চিুনি দেখা দিয়েছে তা হয়তো মাথায় এবং শরীরে প্রচন্ড আঘাতের কারনেও হতে পারে। বাকিটা মাথাা বিভিন্ন পরীক্ষা করার পর বুঝা যাবে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেজার করেছি।’
প্রতিবেদক কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩: ০০ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ