চাঁদপুর

চাঁদপুরে তুচ্ছ ঘটনায় অস্ত্রের মহড়া, দোকানপাট ভাংচুর

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারো দ’ুটি গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একাধিক নিরীহ ব্যবসায়ীর দোকান-পাট ভাংচুর অস্ত্রের মহড়া চালানো হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় বেশ কয়েজন আহত হয়েছে।

৩ এপ্রিল রোববার রাতে শুরু হওয়া ঘটনায় সোমবার রাতেও পুরাণবাজার উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সোমবার বিকেলে রয়েজ রোড এলাকায় ফরিদ বেপারী নামের এক যুবলীগ নেতার হাত কেটে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কতব্যরত চিকিৎস প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় রেফার করে। বর্তমানে ওই এলাকায় পুরাণবাজার ফাঁড়ির পুলিশের পাশাপাশি চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও একটি সূত্রে জানায়, পুরাণবাজার লোহারপুল এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ বেপারীর ছেলে ফারুক পোরীর সাথে পৌর কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী মাঝির ছোট ছেলের সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই দুই পক্ষ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলায় জড়িয়ে পড়ে। এতে লোহারপোল এলাকার দেলু সর্দার মার্কেটের দোকানসহ লোহারপুলের ১৫/২০টি দোকানের সার্টার কোপানো এবং বাসা বাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুরাণবাজার ফাঁড়ির পুলিশ দুই পক্ষকে ধাওয়া করে এ সময় ওভয় পক্ষই ধারালো দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। পরে চাঁদপুর মডেল থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে সোমবার বিকেলে লোহার পোল এলাকার যুবলীগ নেতা ফরিদ বেপারী রয়েজ রোড গেলে অপর পক্ষের সাথে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে অপর পক্ষের লোকেরা ফরিদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। পরে স্থানিয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কতব্যরত চিকিৎস তাকে ঢাকায় রেফার করে। এই ঘটনায় বর্তমানে পুরাণবাজারে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছে।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট||আপডেট: ১০:৫৪  অপরাহ্ন, ০৪ এপ্রিল ২০১৬, সোমবার

চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর

Share