ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্স সমতাকরণের বিরুদ্ধে চাঁদপুরে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়নের মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে
১৩ মে শনিবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত সারা বাংলাদেশের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন, চাঁদপুর জেলা শাখার প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বেলা ১১ টায় চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে তারা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন, চাঁদপুর জেলা শাখার সদস্য আয়েশা আক্তার,খাদিজা আক্তার, মাহবুব হোসেন, নিশাদ হোসেন, সাকিব,কমল মন্ডল, আজহারুল ইসলাম, রায়হান, মনোরঞ্জন সরকার, রাফিয়া ইসলাম, সুরাইয়া আক্তার, অমি, হারুনুর রশিদ রিপন,নুসরাত জাহান নিশা,আব্দুল হান্নান,এমদাদুল হক, রাকিব, তানভির আলম শান্ত,শামছুর নাহারসহ সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ।
প্রতিবাদে তারা বিভিন্ন শ্লোগান তুলে ধরে বলেন, গত ০২/০৫/২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রজ্ঞাপনে লক্ষ্য করা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসারে আমরা দেখতে পাই বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড হতে পাশকৃত শিক্ষার্থী যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি এবং তারপর যারা ৩/৪ বছরের পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্স করার পর (তাও বাংলার মাধ্যমে) শুধুমাত্র ৬ মাসের ইন্টার্নশীপ যোগ্যতা সম্পন্ন করে। তাদেরকে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের সমমান করা হয়েছে। যা যোগ্যতা অনুসারে বিচার করলে চাক্ষুস পক্ষপাত দৃশ্যমান। কেননা এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার এক বিশাল বৈষম্য প্রচন্ডভাবে লক্ষনীয়। যা মেনে নেওয়া অসহনীয় এবং এটি আমাদের নার্স চিত্তের ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমাদের দাবি আদায় না পর্যন্ত আমাদের এই প্রতিবাদ সমাবেশ চলমান থাকবে।
তাদের দাবিগুলো হলো- কারিগরি মুক্ত নার্স,
ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রী সমমান করা,
স্টাইপেন্ড বৃদ্ধি করা ও ইন্টার্নভাতা নিশ্চিত করা। সরকারি নার্সিং এ ছেলে কোটা ১০% থেকে ২০% এবং প্রাইভেটে ২০% থেকে ৩০% করন এবং ছেলেদের আবাসিক হলের ব্যাবস্থা করা।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১৩ মে ২০২৩