চাঁদপুর আজাদ এক্স-রে এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের গাফলতিতে মঞ্জুর ইসলাম (১৩) এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (৮ মে) সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
শিশু মঞ্জুরের পরিবার সদস্য মানিক প্রধানিয়া জানায়, যে গত ৭মে শনিবার ইউপি নির্বাচন চলকালে মেম্বর প্রাথীদের সংঘর্ষে সময় বিজিবি ধাওয়া করলে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নায়েরগাও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের (দঃ) ঘোড়াধারী গ্রামের জয়নাল আবেদিন প্রাধানীয়ার ছোট ছেলের মঞ্জুর ইসলাম (১৩) ধাওয়া কবলে পড়ে। এসময় দৌড়ে পালাতে গিয়ে প্রবাসী ফারুক মুন্সির র্নিমাণাধীন ভবনের দেয়াল ধ্বসে তার ওপর ভেঙ্গে পড়ে।
খবর পেয়ে তার বড় ভাই মানিক মঞ্জুর ইসলাম কে উদ্ধার করে এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করে । রাতে আবস্থার অবনতি হলে রোববার সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল শিশুটিকে দেখে পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য সকাল ৭টায় আজাদ এক্স-রে এন্ড ডায়গনিস্টিক সেন্টারে পাঠায়। সেখানে সেন্টারের ম্যনাজার এমরান এক্স-রে ও আলট্টাসনোগ্রাফি করার জন্য শিশুটিকে দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখার অভিযোগ করা হয়।
পরীক্ষা শেষে রিপোর্টের জন্য আরো ১ ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয় বলে দাবি করে শিশুটির পরিবার।
এর মধ্যে শিশুটির ব্যথা বেড়ে গেলে তাকে পুনরায় সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেয়ে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করে।
শিশুটির ভাই মানিক প্রধানীয়া বলেন দীর্ঘ সময় আমাদেরকে বসিয়ে না রাখলে আমার ভাই মঞ্জুরকে বাচানো যেতো। আজাদ এক্স-রে এন্ড ডায়গনিস্টি সেন্টারের ম্যনাজার এমরান বলেন ডাক্তার আসলে আপনার ভাই মঞ্জুর কে পরিক্ষা করানো হবে পরে দেখি সে নিজেই আমার ভাইকে এক্স-রে ও আলট্টাসনোগ্রাফি করে।
এ ব্যপারে আজাদ এক্স-রে এন্ড ডায়গনিষ্টি সেন্টারের পরিচালক মিজানের সাথে আলাপ করতে চাইলে সংবাদকর্মীদের অশোভন আচরণ করে।
মো. জাবেদ হোসেন [/author]