আধূুনিক ব্যাংকিং জগতে মোবাইল ব্যাংকিং একটি অনন্য নাম। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আর্থিক সেবা প্রদান করাই হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং ।
চাঁদপুরে প্রথমে ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং শুরু করে । মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন হচ্ছে শাখাবিহীন ব্যবস্থা- যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে ব্যাংকিং সেবা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর সাথে রকেট শব্দটি সংযোজন করা হয় । রকেট ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাসিক মোবাইল লেনদেন এখন প্রায় ২৪ কোটি টাকা ।
চাঁদপুর রকেট ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কালি বাড়ি কার্যালয়ের দেয়া এক তথ্যে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় ২ হাজার ৪শ’ এজেন্টের মাধ্যমে ৩ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহককে বর্তমানে ব্যাংকিং সেবা দেয়া হচ্ছে।
এ বছর চাঁদপুর জেলার স্কুল ও মাদ্রাসার ২ শ’ ৩৪ টি এবং ৪৭ টি কলেজের ৯০ হাজার শিক্ষার্থী রকেট ডাচ-বাংলা ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় এসেছে । আরো ২৫ হাজার নতুন গ্রাহক এ বছর যুক্ত হচ্ছে ।
এছাড়াও জেলার সব বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ হতে স্নাতক ডিগ্রি পর্যন্ত ১০% ছাত্র ও ৩০% ছাত্রী উপবৃত্তির অর্থ লেনদেনে রকেট ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেবা দিচ্ছে ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে মাসে গড়ে ৩ কোটি, শাহারাস্তি ১০ কোটি, কচুয়ায় ৩ কোটি, হাজীগঞ্জে ২ কোটি, ফরিদগঞ্জে ১ কোটি এবং মতলব উত্তর ও দক্ষিণে ৩ কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে।
এ দিকে জেলার উপজেলা সদরে, সড়কের জনাকীর্ণ মোড়ে, গ্রাম-গঞ্জের হাটে-বাজারে রেল, লঞ্চ ও ফেরিঘাটে, বড় বড় শপিং মলে রকেট ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে।
একজন গ্রাহক হিসাব খোলার সাথে সাথেই টাকা লেন দেন করতে পারছে।
অনেক অভিভাবক বিভিন্ন কলেজ ও ভার্সিটিতে পড়ুয়া নিজ ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই করছে। ফলে কোনো বাবাÑমা তাদের হোস্টেলে থাকা ছেলে মেয়ের জন্য মুহূর্তের মধ্যে টাকা পাঠাতে পারছে ।
একজন রিকশাচালক যার বাড়ি ভোলা তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশের দোকানে ডাচ-বাংলার এজেন্টর আছে। তাই আমার স্ত্রীর মোবাইলে সন্ধ্যার পর সংসার চালানো টাকা পাঠানোর পর পর সে এসে ওই দোকান থেকে নিয়ে যায়। বিষয়টি শুধু সহজই নয়Ñআনন্দেরও ব্যাপার। টাকা পাওয়ার কথাশুনে ছেলে মেয়েরা খুব খুশি হয়।’
চাঁদপুরে রকেট ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. নাসিমুল হক চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘সাধারণতঃ বিভিন্ন পেশার মানুষ স্বল্প খরচে, লেনদেনে অধিক নিরাপত্তা ও সুবিধা বেশি বলে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে । বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অবস্থায় সারাদিন রোজগার করার পর টাকা মুহূর্তেই পরিবারের কাছে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দিতে পারছে।’
এছাড়া রেমিটেন্সকৃত টাকার ওপর ২% বোনাসও প্রদান করা হয়ে থাকে এবং সহজে ‘এজেন্ট ব্যাংকিং’ এর মাধ্যমে আঙ্গুলের ছাপেও সাধারণ গ্রাহক টাকা তুলতে পারছে। বলে জানান এ কর্মকর্তা।
চাঁদপুরে বর্তমানে এমন ১৩ টি স্পট রয়েছে। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ফাস্ট ফেইজ ও এটিএম বুথের মাধ্যমেও টাকা তুলতে পারছে।
প্রতিদিনই গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে ২৫ হাজার নতুন গ্রাহকের আবেদন জমা রয়েছে । যা পর্যায়ক্রমে গ্রাহকের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:০০ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ