চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাপিলা গ্রামে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্যরা হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে সালেহা বেগম (৬০) নামে বৃদ্ধাকে হত্যা করেছে। একই সময় ডাকাতরা ওই ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
রোববার (১২ আগষ্ট) ভোর ৪টার দিকে চাপিলা গ্রামের হাজী নেছার গাজীর বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। হত্যার শিকার সালেহা বেগম ওই বাড়ীর মাওলানা ফয়েজ উল্যাহ গাজীর স্ত্রী। তার ৪ ছেলে এবং ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহতের দেবর হাফেজ ফোরকান জানান, নিহত সালেহা বেগম তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী। ওই ঘরে ভাবী এবং ছোট ভাতিজা মানজুরের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ও তার শিশু কন্যা তাহিয়া থাকেন। প্রতিদিনের মত তারা রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ৪টার দিকে তিনি নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সময় পাশ^বর্তী ঘর অর্থাৎ নিহতের ঘর থেকে লোকজন আওয়াজ দিচ্ছেন।
এমন সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন সালেহা বেগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বাহির হলে ৫জন ডাকাত সদস্য তার হাত পা বেঁধে শ^াসরোধ করে। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে আসে।
এ অবস্থায় ডাকাতরা মানজুরের স্ত্রী তাহমিনারও হাত-পা বেঁধে স্টীলের আলমিরার ছাবি নিয়ে স্বর্ণলাংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক সাখাওয়াতকে আনা হলে তিনি সালেহা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে ফোরকান বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে জানান।
বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম মিয়াজী বলেন, ফজরের নামাজের পর তিনি জানতে পারেন ডাকাতি ও খুনের ঘটনা। তাৎক্ষনিক বিষয়টি চাঁদপুর মডেল থানাকে অবহিত করেন। পুলিশ আসলে সকাল ৮টায় তিনি ঘটনাস্থলে আসেন এবং ঘরের ভিতরের এখটি খাটে সালেহা বেগমকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঘরের সকল জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখেছেন বলেও চেয়ারম্যান জানান।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উল্যাহ ওলি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহত সালেহা বেগমের সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে। নিহতের ছেলেরা সকলেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে থাকেন। তারা আসলে চেয়ারম্যানসহ আলোচনা করে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক